শিরোনাম
◈ মার্কিন শুল্কে তৈরি পোশাক খাতের উদ্বেগ অস্বস্তি কি কেটে গেছে? ◈ স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত সশস্ত্র প্রতিরোধ চলবে: হামাসের ঘোষণা ◈ এনসিপি নেতাদের ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ নিয়ে ভিডিও বার্তা ◈ নাশকতার আশঙ্কায় আগস্টজুড়ে চলবে চিরুনি অভিযান: ডিএমপি ◈ সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ◈ নিবন্ধনপ্রত্যাশী এনসিপিসহ ১৪৪ দলের তথ্য জমার সময়সীমা শেষ আজ ◈ ঘরে ঘরে হঠাৎ বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা, চিকিৎসকরা বলছেন একসঙ্গে তিন ভাইরাস ছড়াচ্ছে ◈ জুলাই সনদ নিয়ে ভুয়া‌ চিঠি, পুলিশ সদর দপ্তরের হুঁশিয়ারি ◈ শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন হবে না: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার (ভিডিও) ◈ বেনাপোল বন্দর এলাকায় দুর্ধর্ষ চুরির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চোর গ্রেফতার

প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:৫৩ সকাল
আপডেট : ০১ আগস্ট, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আঞ্চলিক ৬ দেশকে ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করল ইরান

রয়টার্স: ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক ও বাহরাইনকে ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।

আঞ্চলিক ৬ দেশকে ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেছে ইরান। প্রতিবেশীদেরকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করে বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা -বিশেষত আকাশসীমা ও ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি প্রদান- ইরানের দৃষ্টিতে শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ড হিসেবে গণ্য হবে।

রোববার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক ও বাহরাইনকে ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেছেন, ‘ইরানের ভূখণ্ড বা স্বার্থের বিরুদ্ধে যেকোনো মার্কিন সামরিক পদক্ষেপে সহযোগিতা ওই দেশগুলোর জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।’

তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই কূটনৈতিক বার্তা পাঠানো হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু ইরান তা নাকচ করে দিয়েছে।

তবে ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ঐতিহ্যগত মধ্যস্থতাকারী ওমানের মাধ্যমে পরোক্ষ সংলাপে অংশ নিতে তেহরান প্রস্তুত।

তিনি বলেন, ‘ব্যাক চ্যানেল বা পরোক্ষ কূটনৈতিক যোগাযোগ উভয় পক্ষকে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রদান না করেও বিবেচনা ও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার অবকাশ দেয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘ওয়াশিংটনের আন্তরিকতা মূল্যায়নের একটি কার্যকর উপায় হিসেবেই ইরান এই পদ্ধতিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে।’

রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং বাহরাইন সরকারের মুখপাত্ররা এ বিষয়ে এখনো গণমাধ্যমের কাছে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

বিশ্লেষকদের মতে, তেহরানের এই কূটনৈতিক তৎপরতা শুধু যে সম্ভাব্য সামরিক সঙ্ঘাতে আঞ্চলিক দেশগুলোর জড়িত হওয়া রোধের একটি প্রয়াস, তা-ই নয়; একইসাথে এটি ওয়াশিংটনকে আন্তর্জাতিকভাবে কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার মুখে ফেলার একটি কৌশল হিসেবেও পরিগণিত হতে পারে।

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইরান যদি তার পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থেকে সরে না আসে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ‘অভূতপূর্ব সামরিক প্রতিক্রিয়ার’ সম্মুখীন করতে প্রস্তুত। এই বক্তব্য উপসাগরীয় অঞ্চলে আরও বৃহত্তর সংঘাতের আশঙ্কা জোরদার করেছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়