যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন চাহিদা সহায়তার ওপর ওয়াশিংটনের দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে। ।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১০ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর ভারত ও বাংলাদেশ সফর করবেন।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের অফিসের একটি মিডিয়া নোটে বলা হয়েছে, 'সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু ঢাকায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে বৈঠকের জন্য একটি আন্তসংস্থা প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন।'
প্রতিনিধি দলে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ, ইউএসএআইডি ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিসের প্রতিনিধিরা থাকবেন।
ঢাকায় অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও সুশীল সমাজের বিভিন্ন সদস্যের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে ডোনাল্ড লুয়ের।
গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এটিই প্রথম এ ধরনের সফর হতে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সফরকালে সহকারী সেক্রেটারি লু তার অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।
ভারতে তিনি ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত ইন্ডিয়া আইডিয়াস সামিটে উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়ে মার্কিন-ভারত সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরবেন।
এছাড়া, তিনি মার্কিন প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি অব ডিফেন্স জেডিদিয়া পি রয়েল ও ভারতের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে অষ্টম ইউএস-ইন্ডিয়া ২+২ ইন্টারসেশনাল ডায়ালগের সহ-সভাপতিত্ব করবেন।
সংলাপে মার্কিন-ভারত দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব বাড়ানো এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ও তার বাইরে সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর আলোকপাত করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :