মো. রমজান আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর ভাঙন থামছেই না। গত বছর নদী ভাঙনে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি উপ-সাইক্লোন কেন্দ্র বিলীন হয়ে গেছে। এবার সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনটি ভাঙনের মুখে পড়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
পদ্মা তীরবর্তী বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নদীর ভাঙা-গড়ার খেলা দেখছি। আগে নদী অনেক দূরে ছিল, এখন ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির দরজায় এসে পৌঁছেছে। অস্থায়ী ব্যবস্থার বদলে স্থায়ী বাঁধ দিলে আমরা রক্ষা পেতাম।’
মাসখানেক ধরে পদ্মা ও মহানন্দা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে সদর উপজেলার নারায়ণপুর-আলাতুলি, শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর-পাঁকা ইউনিয়নসহ কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। কল্যাণপুর মহল্লায় মহানন্দা নদীতে অন্তত ১০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত দুই দশকে অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, ফসলি জমি ও গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষায় নদীতে পানি থাকলেও বছরের বাকি সময় ধু-ধু বালুচর পড়ে থাকে। তাদের দাবি, নদী ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, ‘৩, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি পদ্মায় বিলীন হয়েছে। ইউপি ভবনও ভাঙনের মুখে পড়ে সরিয়ে নিতে হচ্ছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব জানান, শিবগঞ্জের মনোহরপুর ও আইয়ুবের ঘাট এলাকায় প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটারজুড়ে পদ্মার ভাঙন চলছে। জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে। কল্যাণপুরের ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।