আইরিন হক, বেনাপোল (যশোর) : কাস্টমসের নতুন নিয়মে খরচ বেড়ে যাওয়ার অভিযোগে ভারত থেকে মাছ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার (৯ আগস্ট) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি সরকারও প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত শুল্কের চেয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ বেশি শুল্ক আদায় করছে। সামুদ্রিক মাছে কেজি প্রতি শুল্ক ৫০ সেন্ট (প্রায় ৩৮ টাকা) নির্ধারিত থাকলেও বর্তমানে আদায় করা হচ্ছে ৭৫ সেন্ট, ফলে প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ২০ টাকা খরচ হচ্ছে। এছাড়া, প্রতিটি ট্রাকে মাছের ধরন নির্বিশেষে ৮০ শতাংশ মিঠা পানির মাছ ও ২০ শতাংশ সামুদ্রিক মাছ ধরে শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। মিঠা পানির মাছের কেজি প্রতি শুল্ক ৭৬ টাকা এবং সামুদ্রিক মাছের কেজি প্রতি ৪৬ টাকা, যা ব্যবসায়ীদের লোকসানে ফেলছে।
এছাড়া ট্রাকের চাকা সংখ্যার ভিত্তিতে শুল্ক পরিশোধের নিয়মও খরচ বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় সমাধান না পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে মাছ আমদানি বন্ধ রাখছেন।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, প্রতিদিন মাছ আমদানি থেকে ২-৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতো। এখন তা বন্ধ থাকায় সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মাছবাহী ট্রাক চালক ও বন্দর শ্রমিকরা জানান, আমদানি বন্ধ থাকায় ট্রাক বন্দরে আটকে আছে, শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন বলেন, তিনি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছেন। নতুন নিয়ম চালুর বিষয়ে নিশ্চিত নন, তবে বরফায়িত মাছের ওজন নির্ধারণ ও সঠিকভাবে রাজস্ব আদায়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। ব্যবসায়ীরা চাইলে এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।