আমিনুল ইসলাম: [২] ইলেকট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। এটি বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনিবিলিটি অ্যান্ড ইনফোরমেশন প্রকল্পের একটি অংশ বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের উপ-পরিচালক মাহফুজুল কবির।
[৩] দেশে নষ্ট হওয়া ইলেকট্রনিক পণ্যের বেশির ভাগই পুনর্ব্যবহারের কোনো ব্যবস্থা নেই। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের হিসাবে, দেশে বর্তমানে ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে পরিমাণ ১০ লাখ টন। গবেষণা সংস্থাগুলো বলছে, ২০৩৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৪৬ লাখ ২০ হাজার টনে। সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠবে।
[৪] তাই ইলেকট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুমোদন দেওয়া হয় বিশেষ প্রকল্প। এর মাধ্যমে ই-বর্জ্য সংগ্রহ, পুনর্ব্যবহার উপযোগী করা ও ক্ষতিকর বস্তুগুলো ধ্বংস করতে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে।
[৫] এদিকে সঠিক ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এই প্রকল্পের সঙ্গে সিটি করপোরেশনকে যুক্ত করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মজুমদার বলছেন, রাজধানীর মতো জায়গায় ই-বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা দেখা যাচ্ছে না। তাই নতুন এই প্রকল্পে নগর কর্তৃপক্ষকে যুক্ত করার পরামর্শ তার। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আপনার মতামত লিখুন :