মো:আদনান হোসেন, ধামরাই ঢাকা থেকে: ঢাকার ধামরাইয়ে তিন লাখ টাকা লোন করিয়ে দেওয়ার কথা এক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ মুরাদ৷ হোসেন কালা (৩৮) নামে একজন গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়,ধামরাই থানা মামলা নং-০২।
গতকাল শনিবার (৫জুলাই) দিনগত রাতে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। এর আগে সাভার উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ১০/০৪/২০২৫ তারিখে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মোঃ ফারুক হোসেনর বাসায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের পর আসামী মুরাদ আত্মগোপনে ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক এস.আই.সুবোধ চন্দ্র বর্মন।
আভিযুক্ত মুরাদ ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের শাসন কাশিমনগর এলাকার মোঃ আব্দুল মান্নান ওরফে মান্নু মিয়ার ছেলে। ফারুক হোসেন একই এলাকার মৃত ওফাজ উদ্দিন বেপাড়ীর ছেলে।সে বর্তমানে ধামরাই পাঠানটোলা এলাকায় বসবাস করতো বলে জানাগেছে।
ভুক্তভোগী জানায়, গত ১০/০৪/২৫ ইং তারিখে ভুক্তভোগীকে তিন লাখ টাকা লোন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে সাভার জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যেতে বলে। আমি সরল বিশ্বাসে বাড়ী থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই,সেখানে গেলে আসামী মুরাদ আমাকে তার বন্ধু ফারুকের বাসায় নিয়ে যায়। ফারুকের সহায়তায় তার বাসায় নিয়ে মুরাদ আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে।
পুলিশ জানায়, ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি আসামী মুরাদ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর এলাকায আত্মগোপনে আছে। এরপর যৌথবাহিনির অভিযানে মির্জাপুর এলাকা থেকে মুরাদকে গ্রেফতার করা হয়।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মুরাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ সকালে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।