নোয়াখালী প্রতিনিধি: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, “মাঠে যাদের কোনো অস্তিত্ব নেই, তারাই এখন পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে আপনাদের গদিতে বসানোর জন্য বিএনপি রক্ত দেয়নি। আমরা রক্ত দিয়েছি গণতন্ত্রের জন্য, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের দল বিএনপিকে জনগণের ভোটে সরকারে আনতে।”
রোববার বিকেলে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. হারুন অর রশীদ এবং সাবেক যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকারের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো।
তিনি বলেন, “আর তালবাহানা নয়। অনুগ্রহ করে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে চায়। দয়া করে তাদের বাঁচান। আমরা আর রাজপথে নামতে চাই না—তবে প্রয়োজনে আবারও কর্মীরা রাজপথে নামবে।”
২০০৬ সালের ৬ জুলাই জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় দলীয় কর্মসূচি চলাকালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ফারুকের ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে এডিসি হারুন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, “আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আজ এই সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব—তারা কোথায় আছেন তা খুঁজে বের করুন। আওয়ামী লীগের পেতাত্তারা যদি তাদের লুকিয়ে রাখে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনুন।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএম জাকারিয়াসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
দুপুর থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেন সেনবাগ উপজেলা ও আশপাশের ইউনিয়নের হাজারো বিএনপি নেতাকর্মী। সমাবেশটি গণউত্সবের রূপ নেয়।