এ মাসের শেষ সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে নতুন মুদ্রানীতি। এবার মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রেখে সংকোচনমূলক নীতি থেকে বের হয়ে আসতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফের চাপে নীতি সুদ হারেও কিছুটা পরিবর্তন আসবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের পাশাপাশি, ঋণের সুদ হার কমিয়ে বিনিয়োগবান্ধব মুদ্রানীতি চান ব্যবসায়ীরা। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি
একটি নির্দিষ্ট সময়ে অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি, উন্নয়ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ বাজারে কি পরিমান অর্থের সরবরাহ থাকবে, তা নির্ধারিত হয় মুদ্রানীতির মাধ্যমে।
একদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অন্যদিকে বেসরকারি বিনিয়োগকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের কৌশল প্রণয়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবে দীর্ঘদিনের বিনিয়োগের খরা কাটাতে সংকোচনমূলক নীতি থেকে সরে আসার তাগিদ ব্যবসায়ী নেতাদের।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘সামনের মুদ্রানীতিটা কিছুটা হলেও আমাদের ব্যবসায়ী বান্ধব এবং ক্রেডিট ফ্লো বাড়ানোর জন্য যা যা ঘোষণা দেওয়া হোক। আমাদের সুদ হার যেভাবে বেড়ে গেছে সেটাকে যাতে একটু কমানো হয়, একটু লিনিয়েন মুদ্রানীতি আশা করছি।’
মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার সাড়ে ৮ থেকে ১০ শতাংশ করে। ফলে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করে। তবে চড়া নীতি সুদ হারের কারণে বিনিয়োগে ভাটা পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি থেকে এবার বেরিয়ে আসতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘সংকোচনমূলক নীতি যদি চালিয়ে যায় তাবে কিন্তু এটা বিনিয়োগ বান্ধব হবে না। তিনটা ফ্যাক্টরের মধ্যে দুই ফ্যাক্টর ইতিমধ্যে আমরা অর্জন করতে পেরেছি এবং মুদ্রাস্ফীতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও কিছুটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। সেই হিসেবে এবারে হয়তোবা কিছুটা ভিন্ন রুপ, অতটা সংকোচনমূলক নীতি নাও দেখা যেতে পারে।’
অর্থনীতিবিদ তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কিন্তু শুধু অর্থের যোগানে হয় না। বাংলাদেশের যে মূল্যস্ফীতি, ধরেন বাংলাদেশের চ্যানেল ব্যাংক একটা পলিসি বাড়িয়ে দিলেই যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে না, তা না। আমরা যা করি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থায় জোর দেয়ার কথা বলা হলেও, এর বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।