শিরোনাম
◈ ট্রাম্পের ৫ দিনের আলটিমেটাম: বাণিজ্য চুক্তি না হলে ৭০% শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি ◈ আওয়ামী লীগ কার্যালয় পরিণত ‘ভুতুড়ে ভবনে’: গুলিস্তানে পরিত্যক্ত ভবনে মলমূত্রের দুর্গন্ধ, মাদক-জুয়ার আড্ডার অভিযোগ ◈ কোরিয়ায় 'লাভবাগ' আতঙ্ক: পোকার আক্রমণে নাজেহাল রাজধানী ◈ যা ঘটেছিল সেদিন, বর্ণনা দিলেন সেই এইচএসসি পরীক্ষার্থী ◈ পিএসসি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড, পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ◈ বাংলাদেশে ধর্ষণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, প্রশ্নের মুখে রাষ্ট্রের ভূমিকা ◈ সরকারি চাকরিতে আসছে বড় পরিবর্তন ◈ বাংলা‌দে‌শে রাজ‌নৈ‌তিক অ‌স্থিরতার ধু‌য়ো তু‌লে আগ‌স্টে সফ‌রে আস‌ছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল ◈ একযোগে ১৫ নেতাকে অব্যাহতি দিল ছাত্রদল ◈ পাকিস্তান চীনের ‘জীবন্ত পরীক্ষাগার’, ৮১% সামরিক সরঞ্জাম চীনা: দাবি ভারতের জেনারেল রাহুল সিংয়ের

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৫, ০৭:৫৯ বিকাল
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজশাহীতে হত্যা মামলার বাদিকে অপহরণ! কোর্টে নিয়ে মামলা প্রত্যাহারের অভিযোগ

ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগরীতে ২০১৩ সালের আলোচিত এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের মাত্র দুই দিন পরই বাদিকে অপহরণ করে আদালতে নিয়ে গিয়ে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী এস.এম. তারিক পলাশ এ বিষয়ে শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “গত ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে আমি জেলা রাজশাহী বিজ্ঞ বোয়ালিয়া থানার আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় নাম উল্লেখ করা হয় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তির। মামলার দুই দিন পর ৩ জুলাই সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে মালোপাড়া এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা ১০–১২ জন যুবক আমাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে। তারা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে আদালতে নিয়ে যায় এবং মামলাটি প্রত্যাহারে বাধ্য করে।”

তারিক পলাশ দাবি করেন, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হেফাজতে ইসলামের ডাকে এক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। মিছিলটি সাহেববাজার বড় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে আলুপট্টি মোড়ে পৌঁছালে হঠাৎ হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, “সেই হামলায় গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী রাসেদুল ইসলাম রাসেদ। পরে রড ও পাইপ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ওই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে পরিচালিত। ডিবি পুলিশের তৎকালীন ওসি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে গোলাগুলি চালানো হয়, যা সরাসরি তৎকালীন মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।”

তারিক পলাশের দায়েরকৃত মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করেন, তারা হলেন-রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, তৎকালীন ডিবি পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন, বোয়ালিয়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি)রোকনুজ্জামান, তৎকালিন আরএমপির কমিশনার এসএম মনিরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা ডাবলু সরকার, মীর ইকবাল, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, মো. আসাদুজ্জামান আসাদসহ মোট ১১৩ জন।

সংবাদ সম্মেলনে তারিক পলাশ বলেন, “অপহরণের পর তারা আমাকে কোর্টে নিয়ে যায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করে। এমনকি আমার পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে রাখে, যাতে আমি বাধ্য হই। নিজের ও পরিবারের প্রাণ বাঁচাতে আমি মামলা প্রত্যাহার করি।”

তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার পর আমি প্রচণ্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এখনো অপহরণকারীদের নাম প্রকাশ করছি না, তবে এ ঘটনার পেছনে একটি সুপরিকল্পিত চক্র সক্রিয় রয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতি, প্রশাসন ও ক্ষমতার অপব্যবহার জড়িত।”

তারিক পলাশ সরকারের উদ্দেশে বলেন, “এই জঘন্য অপহরণ ও মামলা প্রত্যাহার চাপ সৃষ্টির ঘটনায় অবিলম্বে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা হোক। তিনি ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়