মনজুর এ আজিজ : জাতীয় গ্রিডের একটি সঞ্চালন লাইনে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ নেতৃত্ব দেওয়া পোশাকখাতে উৎপাদন মারাত্নকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবারও পোশাক কারখানাগুলো বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা ছিল। তবে দুপুর ২টা থেকে ছুটির আগ পর্যন্ত সময়ই ছিল জেনারেটরনির্ভর। এতে খরচ যেমন বেড়েছে, আবার পণ্যের কোয়ালিটিও কমেছে বলে জানান শিল্প উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি অনেক কারখানায় জেনারেটর চালানো সম্ভব না হওয়ায় উৎপাদন মারাত্নকভাবে ব্যাহত হয়েছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বিকেএমই’র এক পরিচালক বলেন, বিদ্যুতের সমস্যার কারণে আমাদের কারখানায় উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। বিদ্যুতের মাধ্যমে যে খরচ হয় জেনারেটরে সেখানে বড় উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। তাই দুপুর থেকে কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। পাশাপাশি অনেক কারখানার পণ্যের মান ও উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিদ্যুতের সমস্যার কারণে আমাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি কারখানায় জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। তবে জেনারেটর দিয়ে কাজ চালাতে হলে পণ্যের কোয়ালিটি, উৎপাদন ও খরচ বেড়ে যায়। আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাবো যেন এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। এটা অব্যাহত থাকলে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :