শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২২, ০৩:২৪ দুপুর
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২২, ০৩:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমঝোতা বৈঠকে ২০ টাকা মজুরী বৃদ্ধি, চা শ্রমিকদের প্রত্যাখান

সমঝোতা বৈঠকে ২০ টাকা মজুরী বৃদ্ধি

আমিনুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার): চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চলমান রয়েছে। ধর্মঘট নিরসনে শ্রমিক ও বাগান মালিকদের মধ্যে বৈঠক বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তর ঢাকা কার্যালয় অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চা শ্রমিকদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন ১২ সদসের একটি দল। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা বৈঠক শেষে রাত ১১টার দিকে বাগান মালিক পক্ষ ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৪০ টাকা মজুরী দেয়ার কথা জানান। তবে শ্রমিকরা মাত্র ২০ টাকা মজুরী বৃদ্ধি প্রত্যাখান করে ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

মজুরী নিয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তারা বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনায় এনে বৈঠকে মালিক পক্ষের কাছে ৩শ’ টাকা মজুরী দাবি করেন। মালিক পক্ষ মাত্র ২০ টাকা মুজুরী বৃদ্ধি ঘোষণা করেন। বৃদ্ধি করা মজুরী ২০ টাকায় তাদের সংসারে ব্যয় মিটানো কোনো ভাবে সম্ভব না। তাই তিনি প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান, দাবি মানা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ধর্মঘট চলাকালে চা পাতা উত্তোলন ও ফ্যাক্টরিতে চা পাতা প্রক্রিয়াজাত করণের কাজসহ সবধরনের কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। কাজ বন্ধ রাখায় ফ্যাক্টরিগুলোতে প্রক্রিয়াজাত করণের অপেক্ষায় থাকা কাঁচা চা পাতাগুলো যেমন পচে নষ্ট হচ্ছে। তেমনি বাগান থেকে সময়মতো চা পাতা উত্তোলন না করায় তাও প্রক্রিয়াজাতের অনুপযোগী হচ্ছে। এবছর ভর মৌসুমে শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে চা উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাত করণের কাজ বন্ধ রাখাসহ ক্রমবর্ধমান লোডশেডিংয়ে চা পাতা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চরমভাবে ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, গেল কয়েকদিন থেকে প্রতিদিনই প্রায় ১৫-১৬ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে এশিল্পের সংশ্লিষ্টরা। তবে আন্দোলন অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির ওই পরিসংখ্যান আরও বাড়বে এমনটিই তথ্য দিচ্ছেন চা বাগান মালিক,স্টাফ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মঙ্গলবার বিকেলে চলমান ধর্মঘট নিরসনে দ্বিতীয় দফা আন্দোলনরত চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরে মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শ্রীমঙ্গলে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় বুধবার বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের ঢাকার কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন চা বাগান মালিক পক্ষ ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া পৃথক ভাবে ২৩ আগষ্ট ঢাকায় মন্ত্রী ও সচিবের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে।২য় বারেমতো ঢাকার ওই বৈঠকে মজুরী বৃদ্ধির দাবি আদায় না হওয়াতে মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানসহ সারা দেশের ১৬৭টি চা বাগানে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন অব্যাহত রয়েছে।

গত ৯ আগষ্ট থেকে শ্রমিকরা ৩শ টাকা মজুরীর দাবিতে ধর্মঘটে নামেন। এর পর ১৩ আগষ্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস চা শ্রমিক ধর্মঘট পালন করে। ১৪ ও ১৫ আগষ্ট ২ দিন স্থগিত থাকার পর ১৬ আগষ্ট থেকে পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালন করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়