শিরোনাম

প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:৩৫ দুপুর
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোন ব্যাংকে রাখবেন টাকা? দেখুন বাংলাদেশ ব্যাংকের রেটিংয়ে শীর্ষে কারা!

বাংলাদেশের ব্যাংক খাত নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে এখনও ভরসার সংকট রয়েছে। অনেকে টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন, বিশেষ করে কিছু ব্যাংকে লিকুইডিটির অভাব দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং এবং বিভিন্ন আর্থিক সূচকের ভিত্তিতে দেশের তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ২০টি ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

কেন জরুরি নিরাপদ ব্যাংক বেছে নেওয়া?

বাংলাদেশে বর্তমানে ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ট্রাস্ট ফান্ড (DITF) রয়েছে। এতে আমানতকারীর এক লাখ টাকা পর্যন্ত সুরক্ষা নিশ্চিত, যা দুই লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এখনো মোট আমানতের মাত্র ১৯% এই কাভারেজে রয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম। তাই সঠিক ব্যাংক বেছে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

ক্রেডিট রেটিং ও নিরাপত্তার মানদণ্ড

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪–২৫ সালের ক্রেডিট রেটিং অনুযায়ী নিরাপদ ব্যাংকগুলোকে বাছাই করা হয়েছে।

  • ট্রিপল এ (AAA) রেটিং পাওয়া ব্যাংকগুলোকে সর্বাধিক নিরাপদ ধরা হয়।
  • ডাবল এ (AA) এবং তার ভ্যারিয়েন্ট (AA+, AA–, AA1) মাঝারি স্তরের নিরাপত্তার প্রতীক।
  • শর্ট টার্মে ST–1 সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নির্দেশ করে।

বিদেশি ব্যাংকগুলোর তালিকা (শীর্ষ নিরাপত্তা)

১. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক – AAA, ST–1
২. এইচএসবিসি বাংলাদেশ – AAA, ST–1
৩. সিটি ব্যাংক এন.এ. – মুডিজ A থ্রি, S&P A+
৪. কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলন – AAA, ST–1
৫. স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া – AAA, ST–1

দেশীয় প্রাইভেট ব্যাংক

৬. ইস্টার্ন ব্যাংক – AAA, ST–1
৭. ডাচ–বাংলা ব্যাংক – AAA, ST–1
৮. পুবালি ব্যাংক – AAA, ST–1
৯. ব্র্যাক ব্যাংক – AAA, ST–1
১০. সিটি ব্যাংক – AA1, ST–1
১১. যমুনা ব্যাংক – AA1, ST–1
১২. প্রাইম ব্যাংক – AA1, ST–1
১৩. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক – AA+, ST–2
১৪. এনসিসি ব্যাংক – AA+, ST–1
১৫. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক – AA, ST–2

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক

১৬. সোনালী ব্যাংক – AA–, ST–2
১৭. জনতা ব্যাংক – AA–, ST–2
১৮. অগ্রণী ব্যাংক – A+, ST–2
১৯. রূপালী ব্যাংক – A–, ST–2
২০. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ – AAA, ST–1 (সম্প্রতি অবস্থা উন্নত হয়েছে)

কেন এই ব্যাংকগুলো নিরাপদ?

  • শক্তিশালী ক্রেডিট রেটিং
  • টেকসই ব্যাংকিং কার্যক্রম (গ্রিন ফাইন্যান্স, সাস্টেইনেবল রিপোর্টিং)
  • গ্রীন জোন রিপোর্টে ইতিবাচক অবস্থান
  • পর্যাপ্ত রিজার্ভ ও কাভারেজ
  • বিদেশি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের গভর্নেন্স
  • রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সরকারি সাপোর্ট

সতর্কতা ও টিপস

  • ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স সীমা বর্তমানে মাত্র ১ লাখ টাকা, বাড়ানোর উদ্যোগ চলমান।
  • কোনো ব্যাংক পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নয়, তাই টাকা রাখার আগে ব্যাংকের NPL (Non-Performing Loan), CRAR (Capital to Risk-weighted Asset Ratio) ইত্যাদি সূচক যাচাই করা জরুরি।
  • কয়েকটি ব্যাংকের মার্জার প্রক্রিয়া চলছে, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে গ্রাহকদের আমানত ঝুঁকির মুখে নেই।

আশার খবর

যদিও সামগ্রিক ব্যাংকিং খাত কাঠামোগত সংকটে রয়েছে, তবে ধীরে ধীরে অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। লিকুইডিটি সংকটে থাকা অনেক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

সূত্র: জনকন্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়