ডেস্ক রিপোর্ট: বনশ্রীর দোতলা বাড়ির ছাদে গড়ে উঠেছে এক অসাধারণ ছাদকৃষি, যা দেখলে মনে হয় গ্রামের কোনো বাড়ির উঠান। আলহাজ্ব লায়ন এম. এ. কুদ্দুস এবং তার স্ত্রী হাসিনা মমতাজের নিরলস পরিশ্রমে এই ছাদটি পরিণত হয়েছে এক সবুজ নন্দনকাননে। তাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শুধু ফলনই নয়, বরং প্রাকৃতিক উপায়ে চাষাবাদের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এই ছাদকৃষিটি কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়াই তৈরি হয়েছে। পরিবারের দৈনন্দিন বর্জ্য, যেমন সবজি ও ফলের খোসা এবং ডিমের খোসা, ফেলে দেওয়ার ফলে প্রাকৃতিকভাবেই এখানে বিভিন্ন গাছপালা জন্মেছে। বাগানে ব্যবহৃত মাটিও বাড়ির জৈব বর্জ্য থেকে তৈরি, যা গাছের বৃদ্ধিতে দারুণ সহায়ক হয়েছে।
বাগানে উল্লেখযোগ্য গাছপালার মধ্যে রয়েছে:
আমগাছ: একটি বিশাল আমগাছ এই বাগানের অন্যতম আকর্ষণ। এ বছর গাছটিতে প্রায় দেড় মণ আম ফলেছিল, যা তাদের এলাকার ঐতিহ্যের প্রতীক।
তেঁতুল ও পেঁপেগাছ: এখানে একটি তেঁতুলগাছ রয়েছে যা সারা বছর তেঁতুল দেয়, এবং পেঁপেগাছগুলোয় বারো মাস ফলন হয়। পরিবারের পেঁপের চাহিদা বাজার থেকে মেটাতে হয় না।
অন্যান্য গাছপালা: এ ছাড়াও জাম, আমরা, লেবু, চালতা, জলপাই এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও মসলার গাছ রয়েছে, যা বাগানের বৈচিত্র্য বাড়িয়েছে।
এই ছাদকৃষিতে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না এবং শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করা হয়, যা এটিকে স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশবান্ধব করেছে।
শুধু কৃষিই নয়, এটি একটি শিক্ষাকেন্দ্রও বটে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে আসে এবং হাতে-কলমে গাছ লাগানো ও পরিচর্যার পদ্ধতি শেখে। আলহাজ্ব লায়ন এম. এ. কুদ্দুস ও তার স্ত্রী হাসিনা মমতাজের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে, সঠিক ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকলে শহরের সীমিত জায়গাতেও প্রকৃতির ছোঁয়া আনা সম্ভব।
বিস্তারিত আরও শুনুন ভিডিওতে