মাসুদ আলম: [২] বাজারে নতুন করে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে আলুর দাম। ডিম ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা, আদা ও রসুন কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে।
[৩] ঈদের আগে সব ধরনের মুরগি কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিলো। তা এখন কমে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, সবজি ও গরুর মাংস। যদিও রাজধানীর বাজারে এখনো কেনাবেচা জমে ওঠেনি। বাজার কিছুটা ফাঁকা। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
[৩] বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। কোথাও কোথাও কেজি ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে আলুর কেজি ছিল ৪৫ টাকার আশপাশে। আদা ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। যা ঈদের আগে ছিলো ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। চায়না রসুন ২১০ থেকে ২২০ টাকা। যা ঈদের আগে ছিলো ১৯০ টাকা ২০০ টাকা। ডিম ডজনে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা।
[৪] ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা। সোনালি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা। যা ঈদের আগে ছিলো ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা। এছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের মাছ।
[৫] দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগেও একই দাম ছিলো। টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৬৫ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা মানভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
[৬] বৃহস্পতিবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম চার টাকা বাড়ানোর ঘোষণা আসে। নতুন মুল্য তালিকার তেল বাজারে না আসায় খুচরা ব্যবসায়ীরা আগের দামেই বিক্রি সয়াবিন তেল বিক্রি করছে।
[৭] ভাটারা নুরেরচালা মতিন স্টোরের ম্যানেজার আল ইসলাম আলী বলেন, ঘোষণা হলেও বাজারে নতুন দামের তেল এখনো আসেনি। দু-একদিনের মধ্যেই নতুন দামের তেল সরবরাহ করবে কোম্পানিগুলো। এছাড়া ঈদের পর হঠাৎ করে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে আলু। এছাড়া রসুন ও আদা কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল।
[৯] খিলক্ষেতে বাজার করতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, বাজার ক্রেতা কম থাকায় সবজি দাম কিছুটা কম। এরই মধ্যে কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। সম্পাদনা: এম খান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :