এস.এম আকাশ, ফরিদপুর: ফরিদপুরে সরকারি অফিসে ঢুকে প্রকল্প পরিচালক ও উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করার ৯দিন পেড়িয়ে গেলেও এখনো উক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার।
জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরে নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের বাম্বু বান্ডেলিংয়ের প্রকল্প পরিচালককের অফিস কক্ষে ঢুকে প্রকল্প পরিচালক ও উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ইমরানকে কিলঘুষি মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যান হাড়ুকান্দী মহল্লার মৃত মোশাররফ শেখের ছেলে মো: নিয়াজ শেখ এবং হোচেন মৃধার ছেলে কাজল মৃধা।
এ ঘটনায় ওই দিন ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয় এবং হামলার স্বীকার হওয়া নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রকল্প পরিচালকের পক্ষ থেকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারসহ সরকারের উচ্চ মহল গুলোতে ঘটনার বিস্তারিত লিখে অভিযোগ জানানো হয়।
থানায় লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি অফিস কক্ষে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। এসময়ে হাড়কান্দি মহল্লার মোঃ নিয়াজ শেখ ও কাজল মৃধা নামে দুই যুবক তার কক্ষে ঢুকে দরজার ছিটকিনি আটকে তার কাছে জামানতের টাকা ফেরত চায় এবং বাম্বু বান্ডেলিংয়ের টেন্ডারের সময় তাকে কেনো অফিস কক্ষে পাওয়া যায়নি বলেই তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় সহকর্মীরা এসে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে তারা ছিটকিনি খুলে দেয় এবং তাদের সামনেই আবারও মারতে থাকে। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়।
হামলার শিকার হওয়া ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, তারা বাম্বু বান্ডেলিংয়ের কাজ কেনো তাদের দেয়া হয়নি একথা বলে তাকে হুমকি দিতে থাকে। তিনি বলেন, ওই কাজের টেন্ডারের ওপেনিং হয়েছে ১০ তারিখে। এখনো কেউ কাজ পায়নি। টেন্ডারের ইভ্যালুয়েশনের কাজ চলছে। এব্যাপারে তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং পুলিশ সুপারকে অনুলিপি দিয়েছেন।
প্রতিনিধি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :