মোতাহার খান, শ্রীপুর : ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের উপর ককটেল হামলার ঘটনায় সোমবার রাতে শ্রীপুর থানায় ছাত্রদলের ২৩ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনের নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মাহাবুব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন।
রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫টি ককটেল ও বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত উদ্ধার করেছে।
মামলায় আসামীরা হলো, শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জিয়াউল হক ওরফে রিফাত মোড়ল (২৭), ছাত্রদল নেতা বাপ্পি সরকার (২৫), সজিব শিকদার (২৫), আবু তাহের প্রধান (৪০), মাছুম (২৮), শিপন (৩৬), সালাম শেখ (৪০), নাজমুল শেখ (২৮), আল-আমিন (৩৮), ওবায়দুর রহমান মন্ডল সোহেল (৪৫), সোহেল ফকির (৪২), সুমন আহমেদ আকন্দ (৩৫), সরোয়ার হোসেন শেখ (৪০), মোঃ মোসলেম উদ্দিন মৃধা, মাসুম (২৭), মমিন সরকার (২৭), সাদ্দাম, সেলিম, আলম (৪৫), রবিন আহমেদ (২৫), ইফরান (২৫), তানভীর (২৫), মোবারক হোসেন শ্যামল (৪৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক অপারেশন আনিছুর আশেকীন জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ অভিযান চালায়।
এ সময় অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদল কর্মীদের নিক্ষিপ্ত অবিষ্ফোরিত ককটেল ও বিষ্ফোরিত ককটেলে অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সোমবার রাত পৌনে ১১টায় বিশ্বকাপ খেলা দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল যোগে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক মাষ্টারবাড়ি থেকে মাওনা চৌরাস্তার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মহাসড়কের পাশে জমজম সুপার মার্কেটস্থ মায়ের দোয়া হোটেলের সামনে পৌঁছে। এসময় ছাত্রদল কর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর ককটেল হামলা চালায়।
এতে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। আহতদের ডাকচিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় আহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর ককটেল হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার আসমিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রতিনিধি/জেএ