সানজিদা রুমা, নরসিংদী : নরসিংদীতে কমিউটার ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল মামুন (৪৩) নামে এক শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে শহরের বাসাইল রেলক্রসিংসংলগ্ন স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল্লাহ আল মামুন নরসিংদীর শিবপুরের দুলালপুর ইউনিয়নের দরগাবন্ধ গ্রামের মো. আবুল কাসেমের ছেলে। নরসিংদী শহরের শাপলা চত্বর এলাকার একটি ভাড়াবাসায় থেকে থার্মেক্স গ্রুপের একটি কারখানায় চাকরি করতেন তিনি।
রেলওয়ে পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, সকালে কারখানার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন তিনি। সকাল পৌনে ৮টার দিকে বাসইল রেলগেটসংলগ্ন স্থানে অবস্থান করছিলেন তিনি। এ সময় ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা নরসিংদী কমিউটার ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এ ছাড়া পাশের রেললাইনে বিপরীত দিক থেকে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেটের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকাগামী রেললাইনে দাঁড়িয়ে পাশের রেললাইনে পারাবত এক্সপ্রেস চলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি।
নরসিংদী কমিউটার ট্রেন কাছাকাছি চলে আসার পর ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিরা বারবার তাকে সরে যেতে ডাকছিলেন। কিন্তু শ্রবণ প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি ওই ডাক শুনতে পাননি, এমনকি ট্রেনের হুইসেলের শব্দও তিনি বুঝতে পারেননি। পরে ওই ট্রেনে কাটা পড়ে তার শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জহুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের ১০ টুকরো লাশ উদ্ধার করেন।
বাসাইল রেলগেটের গেটম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, নরসিংদী কমিউটার ও পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনদুটি একই সময়ে রেলগেট অতিক্রম করছিল। এতে তিনি হতভম্ভ হয়ে পরেন। ট্রেন আসছে, ট্রেন আসছে- বলে অনেক ডাকাডাকি করলেও শুনতে পাননি। এরপরই ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান তিনি।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত শ্রবণ প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তির ১০ টুকরো লাশ উদ্ধার করেছি আমরা। কোন অভিযোগ নেই মর্মে তার স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে।