শিরোনাম
◈ বাংলা‌দেশ জিত‌লো তামিমের সেঞ্চুরিতে, সি‌রিজ শেষ হ‌লো সমতায়  ◈ তোপের মুখে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় ছাত্রলীগ কর্মীকে ছেড়ে দিল পুলিশ (ভিডিও) ◈ ‘ফজু পাগলা’ উপাধি যারা দিয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই: ফজলুর রহমান ◈ সরকার থেকে পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদ ◈ ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে বাতিল হবে ৬ ধরনের দলিল: আসছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থা ◈ আগামী নির্বাচন হতে যাচ্ছে মাইলফলক: সিইসি নাসির উদ্দিন ◈ 'র' এর মাধ্যমে শিখ নেতাদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত অমিত শাহ, চাঞ্চল্যকর তথ্যচিত্র প্রকাশ! (ভিডিও) ◈ জেট ফুয়েলের দাম আরও বাড়ল, বিমান ভাড়া কি বাড়বে? ◈ আ.লীগের বড় পরিকল্পনা ফাঁস, গ্রেপ্তার ২৫ ◈ ১৮ নভেম্বর ‘প্রবাসী ভোটার অ্যাপ’ উদ্বোধন

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০৪ দুপুর
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে

সাইফুল ইসলাম মিঠু, চুয়াডাঙ্গা:  এ বছর ২০২৫ শীতের পূর্ব সময়ে ইতোমধ্যেই চুয়াডাঙ্গার জিবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা এখন খেজুর গাছ ছাঁটাই ও চাচ দেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের সবচেয়ে বড় খেজুর গুড়ের বাজার বসে এ জেলায়। স্থানীয় মানুষ বছরের এই সময়টির অপেক্ষায় থাকে সারাবছর। কারণ শীত মানেই মিষ্টি খেজুরের রস, গুড়-পাটালি আর পিঠা-পায়েসের উৎসব। স্থানীয় গাছিরা প্রথমে ধারালো দা দিয়ে গাছের মাথা ছাঁটাই করে, যাকে তারা ‘ডেগো ছাটাই’ বলে। এক সপ্তাহ পর গাছের সোনালি অংশ বের করে দেওয়া হয়, যেটিকে ‘চাচ দেওয়া’ বলা হয়। এরপর বাঁশের তৈরি নলি বসিয়ে মাটির ভাড় (কলস) ঝুলিয়ে দেওয়া হয় রস সংগ্রহের জন্য। শীতে ভোরের কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস জানিয়ে দেয় রসের সময় এসে গেছে। এখন প্রতিদিন সকালেই গ্রামে গ্রামে গাছের নিচে ভাড় নামাতে যাই গাছিরা, রসের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। রস সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নতুন ধানের চাউল দিয়ে গুড়া তৈরি ও রসের পিঠা বানানোর আয়োজন। খেজুরের রস থেকে তৈরি হয় দানা গুড়, পাটালি গুড় ও তরল গুড়- যার সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর শীতের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ বাজারের গুড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বছরে শত কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এখন অনেকে অনলাইনে অর্ডার দিচ্ছেন বিদেশেও পাঠানোর কথা বলে।

খেজুর গাছ অন্যান্য গাছের মতো সার বা কীটনাশক ছাড়াই বড় হয়। এটি কৃষকদের অতিরিক্ত আয় দেয় এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে স্থানীয়রা জানান, ইটভাটায় খেজুর গাছ পোড়ানো এবং অপরিকল্পিত গাছ কাটা বন্ধ না করলে এই ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

চুয়াডাঙ্গার খেজুর রস শুধু মিষ্টি খাদ্য নয়, এটি একটি ঐতিহ্য, যা এই অঞ্চলের সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশের আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি শীত তথা শৈতপ্রবাহ আসে এই জেলায়। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম বাংলার প্রতিটি ভোরে যখন ভাড় থেকে রস ঝরবে, তখন আবারও জীবন্ত হয়ে উঠবে সেই পুরনো চিত্র খেজুর গাছের নিচে রস বিক্রির ভিড়, আনন্দে গুড়ের গন্ধে ভরে থাকে চুয়াডাঙ্গার গ্রামগুলো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়