নরসিংদীতে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুপক্ষের লোকজন। গতকাল শনিবার ভোর থেকে মাধবদী থানার চরদিঘলদী ইউনিয়নের চর জিতরামপুরে এই সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন– চর জিতরামপুর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে খায়রুল, মিন্টু মিয়ার ছেলে দুলাল ও রুবেল মিয়া, মাইনউদ্দিনের ছেলে জাকির, মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে খালেক মিয়া ও খালেক মিয়ার ছেলে জাকির। তাদের মধ্যে খায়রুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চরদিঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুরে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় চান মিয়া ও শহিদ মিয়া মেম্বার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে গত সোম ও মঙ্গলবার দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৯ জন আহত হন। পরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হওয়ায় পুলিশ মাধবদী থানায় ফিরে গেলে শনিবার ভোরে সুযোগ বুঝে চর জিতরামপুরে উত্তর পাড়া মাদ্রাসার মাইকে ঘোষণা দিয়ে ফের টেঁটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষের লোকজন।
আহত দুলাল মিয়া জানান, ভোরে শহিদ মেম্বারের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। টেঁটার আঘাতে তাদের লোকজন আহত হয় এবং কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে শহিদ মিয়া মেম্বার ও চান মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের ব্যবহৃত ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
মাধবদী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, ভোরে শহিদ মেম্বারের লোকজন চান মিয়ার লোকদের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে দ্রুতই অভিযান চালানো হবে। তিনি জানান, গত ৩ নভেম্বর ও ৪ নভেম্বর দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর থেকে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
সূত্র: সমকাল