দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে হিমালয়ের পর্বতমালা কাঞ্চনজঙ্ঘার হালকা অবয়ব দেখা যাচ্ছে। তবে আকাশে মেঘ ও কুয়াশা থাকায় পর্বতের শুভ্র রূপ পুরোপুরি দেখা না মিললেও সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমেছে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে।
সরেজমিনে শুক্রবার ভোর থেকে তেঁতুলিয়ার ডাকবাংলোসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ঝাপসা আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘার আভাস দেখা গেছে। পর্যটকরা জানান, ভাগ্য ভালো থাকলে খালি চোখেই এ মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা সম্ভব। তবে পরিষ্কারভাবে না দেখতে পেয়ে অনেকের মনে খানিকটা হতাশাও দেখা দিয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও অক্টোবরের শেষ দিকে শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের আশায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসছেন তেঁতুলিয়ায়। স্থানীয়রা বলছেন, আগামী কয়েক দিনে আকাশ পরিষ্কার থাকলে আরও স্পষ্টভাবে দেখা মিলবে বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম এই পর্বতশৃঙ্গের।
রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক সালমান আহমেদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘার নাম অনেক শুনেছি। আজ হালকা অবয়বে দেখেও মনে হলো, পর্বতটা যেন হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারব। সকালটা সত্যিই দারুণ ছিল।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিশাত ফারিহা বলেন, ‘পুরোটা দেখা না গেলেও পাহাড়ের যে অংশ দেখা যাচ্ছে সেটাই মুগ্ধ করার মতো। আবহাওয়া একদম পরিষ্কার হলে আবার আসব।’
স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যও বেড়ে যায়। পর্যটকেরা সকালে এসে চা পান করেন, ছবি তোলেন এবং বিকেল পর্যন্ত অবস্থান করেন এতে স্থানীয়দেরও ভালো আয়ের সুযোগ হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় সময় সংবাদকে বলেন, ‘আকাশে মেঘ থাকায় এখন পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না। তবে আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে আগামী কয়েক দিনে হিমালয়ের তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে। এতে পর্যটকের ভিড় আরও বাড়বে।’ সূত্র: সময় নিউস