জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার মতো নেতার জন্ম না হলে এদেশে জামায়াতের পূর্ণভাব হতোনা। আমাদের নেতাকর্মীরা এখনো উপলব্ধি করতে পারেনি আমাদের মূল প্রতিপক্ষ কে। আমাদের নেতাকর্মীদের উপলব্ধি করতে হবে আসলে আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষ কে। যারা আজ নামাজের কথা বলে, বেহেশতের কথা বলে আমাদের মা-বোনদের কাছে ভোট চাচ্ছে। তাদের মতো আমাদের নেতাকর্মীদেরকেও কাজ করতে হবে। নামাজ পড়তে হবে, নামাজের কথা বলতে হবে। মা-বোনদের কাছে যেতে হবে। তাদের কাছে ভোট চাইতে হবে। তাহলে তারা আর একা নামজ ও বেহেশতের কথা বলে মা-বোনদের কাছ থেকে ভোট নিয়ে যেতে পারবে না। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যদি কেউ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে কিন্তু অপরাধ না করে থাকে, তবে তাকে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত না। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি বাংলাদেশের জন্য আমাদের বাপ-চাচরাও পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ করেছিল। তবে এটা বিচারের দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না।
তিনি আরও বলেন, ১৫ বছর আমরা ভোট দিতে পারি নাই। বিএনপি ভয় পায় না। বিএনপি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যায় নাই। দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি লড়াই করেছে। বেগম খালেদা জিয়া সম্মানে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য গেছেন। আর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্ট এর আগে কল দিয়ে যে নেতাকর্মীকে আন্দোলনের জন্য ডেকে ছিলেন। ৫ আগস্টের পর আপনারা কি সে নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। তাদের ভুলে গেলে চলবে না। তাদের খোঁজ খবর নিতে হবে। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ রেখে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী ফেব্রয়ারির নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মজুর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
রামগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শেখ কামরুল হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাছিবুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ হারুন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী প্রমুখ।