এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য উপকূলের মৎস্যঘেরের পাড়ে সবজি মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার প্রান্তিক কৃষক। বিশেষ করে ঘেরে মাছের পাশা-পাশি সবজির মধ্যে যেমন করলা, শষা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ,বরবটি, ঢেড়শ, পুঁইশাক, সহ উৎপাদন হচ্ছে অফ সিজনাল তরমুজ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে চলতি মৌসুমে ১৮শ’ ৭৪ হেক্টর মৎস্য ঘের পাড়ের জমিতে সবজির চাষ করা করেছেন প্রায় ২০ হাজার কৃষক। উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী হচ্ছে।
উপজেলার গরীবপুর গ্রামের কৃষক তারক মজুমদার এ প্রতিবেদককে জানান মাছের ঘের পাড়ে করলা চাষ করে তিনি বিগত বছরগুলোতে বেশ লাভবান হয়েছেন। এবছর করলার চাষ করেছেন ৪৮ শতাংশ জমিতে এ চাষে তার ৬হাজার টাকা খরজ হয়েছে। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই তিনি খরজ বাদে ৫ হাজার টাকারমত আয় করেছেন। পুরো মৌসুমে তিনি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করবেন বলে জানান।
ডাকাতিয়া গ্রামের আবু সাঈদ বলেন, মাছের ঘেরে সবজি চাষ করে তিনি অনেক লাভবান। তিনি পরের জমি চাষকরে পরিবার নিয়ে ভালো আছেন।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সিফাত আল মারুফ জানান, চলতি মৌসুমে চিতলমারী উপজেলায় প্রায় ১৮শ’৭৪ হেক্টর মৎস্য ঘের পাড়ের জমিতে সবজির চাষ করেছেন, প্রায় ২০ হাজার কৃষক। সবজির ফলন তুলনামূলক ভালো। তবে অতি বর্ষনে বেশ কিছু গাছের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চল গুলোতে, যে কারনে প্রায় ৮ কোটি টাকার সবজি নষ্ট হয়েছে ।
এছাড়া ঘের পাড়ে ভাসমান নেটে অফসিজন তরমুজ চাষের প্রবনতা বেড়ে উঠছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে এধরনের হাইব্রিড তরমুজের চাষ করা হয়েছে। যাতেকরে কৃষকের আর্থিক সচ্ছলতায় আরো এগিয়ে যাবে।