জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : “একশো টাহা ঘুষ দিয়াও কাডে নাম উডে নাই”— কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই বরগুনার আমতলী উপজেলার খুরিয়া গ্রামের পিয়ারা বেগম অভিযোগ করলেন ইউপি প্রশাসক নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (সকাল ১১টা) খুরিয়ার খোয়াঘাট এলাকায় আয়োজিত এক মানববন্ধনে অভিযোগ ওঠে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ইউনিয়নের অবহেলিত নারীসহ প্রায় ৫ হাজার মানুষের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করেন ইউপি প্রশাসক নিজাম উদ্দিন। তবে টাকা নিলেও অধিকাংশের নাম ভিজিডি তালিকায় ওঠেনি। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা।
ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন— হানিফ বয়াতী, আবুল কালাম আজাদ মাস্টার, জিএম সোলায়মান, মজনু খান, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন এবং ভুক্তভোগী নারী হালিমা বেগম, পাখি বেগম, হাসিনা বেগম, পারুল বেগম, ময়না বিবি, জেসমিন আক্তারসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ইউপি প্রশাসকের এ ধরনের দুর্নীতি ন্যাক্কারজনক ও অনৈতিক। তারা দ্রুত প্রশাসনিক তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফিরোজ খান তাপস বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি আছি। যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”