নিজস্ব প্রতিবেদক : ক'দিন আগে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ, এবার লাল সবুজদের সামনে ওয়ানডে সিরিজের পরীক্ষা, বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে টাইগার সেনারা, এবার বাংলাদেশ ক্রিকেটে শুরু হচ্ছে এক নতুন অধ্যায়। ১৮ বছর পর প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ এমন এক দল নিয়ে, যেখানে নেই সেই চেনা পাঁচ মুখ—মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ।
দীর্ঘ সময় ধরে যাঁরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বিপদে আগলে রেখেছেন দলকে, জিতিয়েছেন ম্যাচ, তাঁদের কাউকে ছাড়া এবারই প্রথম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা।
তামিম, রিয়াদ, মাশরাফিরা অবসরে। মুশফিক খেলেন শুধু টেস্ট, সাকিব অবসর না নিলেও তার আর ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বুধবার (২ জুলাই), শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজ ঘিরে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হলো—দলটির নেতৃত্বে থাকছেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
বন্ধু নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে তাকে হুট করেই করা হয়েছে অধিনায়ক। যা নিয়ে চারদিকে চলছে তোলপাড়। আর তাই চ্যালেঞ্জ সঙ্গী করেই এগোতে হবে মিরাজকে।
প্রথমবারের মতো স্থায়ীভাবে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার। এই সুযোগ যেমন সম্মানের, তেমনি বড় চ্যালেঞ্জেরও।
এই সিরিজে বাংলাদেশ দলটি পুরোপুরি তরুণ। অনেকের জন্যই এটা নিজেদের জাত চেনানোর মঞ্চ।
নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিমদের মতো ব্যাটাররা আছেন দলে।
বোলিং বিভাগে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানার মতো ক্রিকেটাররা।
এই তরুণরা জানে, এবার তাদের জন্য বড় কিছু করার সময়। তারা জানে, পেছনে পঞ্চ পান্ডবের মতো কিংবদন্তিরা থাকলেও সামনে এগিয়ে যেতে হবে নিজেদের চেষ্টায়।
তারা জানে, প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেট তাদের জন্য ভবিষ্যতের দুয়ার খুলে দিতে পারে।
এই সিরিজ তাদের কাছে কেবল একটা সিরিজ নয়—এটা নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই, নিজের অবস্থান তৈরি করার যুদ্ধ।
মিরাজ নিজেও জানেন, নেতৃত্ব মানেই শুধু টস করাই নয়—নেতৃত্ব মানে দিক দেখানো, ঝুঁকি নেওয়া, এবং নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে বাকিদের অনুপ্রাণিত করা। এই বিশ্বাস নিয়েই শুরু হচ্ছে তার পথচলা।