হৃদয় হাসান,কুমিল্লা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কলেজ ছাত্র জামসেদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় ১১ মাস পর সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হক কে প্রধান আসামী করে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৮০ জন সহ ১২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের চাচা মোঃ আইয়ুব মিয়াজী। তথ্যটি মঙ্গলবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ।
মামলার এজাহারে বাদী মোঃ আইয়ুব মিয়াজী উল্লেখ করেন, নিহত জামসেদুর রহমান তার ভাই জালাল আহাম্মেদ মিয়াজীর সন্তান। জামসেদ কুমিল্লার সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলো। এছাড়াও সে কোটা সংস্কার দাবীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট তার ভাতিজা জামসেদুর রহমান সকাল থেকে চৌদ্দগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শান্তিপূর্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।
ওই দিন সরকার পতনের খবর শুনে হাজার হাজার ছাত্র জনতা বিজয় মিছিল করে। এ সময় চৌদ্দগ্রাম বাজারে আওয়ামীলীগের পার্টি অফিসের আশপাশ থেকে আন্দোলনকে দমন করার জন্য আওয়ামীলীগের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র সহ ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে জামসেদুর রহমান নিহত হয়।
মামলার অন্যান আসামীরা হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল, গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বিপ্লবসহ ৩৯ জন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, ৫ আগষ্টে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র জামসেদুর রহমানের হত্যার ঘটনায় তার চাচা আইয়ুব মিয়াজী বাদী হয়ে সোমবার রাতে ১২২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে আমরা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।