সাদেক আলী: [২] শনিবার রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে এসব হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হামলার জন্য ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন বিএনপি নেতারা।
[৩.১] নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীর বাদশা মিয়া সড়কের বাসায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের শতাধিক কর্মী এসে ভাঙচুর চালান। বাসার দরজা তারা ভেঙে ফেলেন। ভাঙচুর করেন বাসার জিনিস। বাসায় তার অসুস্থ মা রয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি (শাহাদাত) বাসায় ছিলেন না।
[৩.২] তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা বাসার নিচে পার্ক করা ১০/১২টি গাড়িও আগুনে পুড়িয়ে দেন। গাড়িগুলো ভবনের অ্যাপার্টমেন্টে থাকা চিকিৎসক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনের। আগুনে অ্যাপার্টমেন্টে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
[৩.৩] ডা. শাহাদাত বলেন, আমি কিছুর মধ্যে ছিলাম না। আমার বাসায় কেন হামলা করল, বুঝলাম না।
[৪] ডা. শাহাদাতের বাসার পর নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর বাসায়ও হামলা চালানো হয়। নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী বলেন, এ হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ।
[৫] রাত ৯টার দিকে নগরের মেহেদীবাগ এলাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসায় হামলা ও আগুন দেওয়া হয়। ওই সময় নগরের গোলপাহাড় থেকে মেহেদী পর্যন্ত এলাকায় দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
[৬] আমীর খসরুর ব্যক্তিগত সহকারী মো. সেলিম বলেন, স্যার (আমীর খসরু) কারাগারে রয়েছেন। বাসায় তার ভাইয়েরা থাকেন। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সেখানে ঢুকে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
[৭] নগরীর চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, আমীর খসরুর বাসার সামনে গাড়িতে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।
[৮] বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন বলেন, তাদের চট্টেশ্বরীর বাসায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন। বাসায় দরজায় কোপ দেন। কিন্তু ভেতরে ঢুকতে পারেননি। বাসার দরজার সামনে থাকা দুটি পাজেরো গাড়ি ও জানালার কাঁচ ভাঙচুর করেন। ওই সময় বাসায় তার বাবা মীর নাছির উদ্দিন ছিলেন।
[৯] বিএনপি নেতাদের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ বলেন, বিএনপির নেতাদের বাসায় আগুন দেওয়ার সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কেউ জড়িত নন। আমরা সাংগঠনিকভাবে কোনো ধরনের সংঘর্ষে জড়ানোর পক্ষে নই।
[১০] এর আগে সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের চশমা হিলের বাসা ও আওয়ামী লীগের নেতা, মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর লালখান বাজারের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। এসব হামলার জন্য আন্দোলনকারীদের শিক্ষার্থীদের দায়ী করা হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :