সালেহ্ বিপ্লব: ঢাকা-যশোর রেললাইনের পদ্মা সেতু অংশে রেলট্র্যাক পাথরবিহীন। এই ট্র্যাকে শেষ স্লিপারটি বসানোর কাজ বাকি ছিলো, সেটি বসানো হয়েছে বুধবার। পদ্মার এপার ওপার অর্থাৎ মাওয়া-ভাঙ্গা রুট এখন রেল চলাচলের জন্য প্রস্তুত। এবার পরীক্ষামূলক রেল চালানোর পালা। রেলওয়ে তৈরি থাকলেও অন্যান্য কারণে কয়েকদিন সময় লাগছে, ৮ এপ্রিলের আগে হওয়ার সম্ভাবনা কম। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক সিনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
অন্যদিকে, মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে; ৪ এপ্রিল ট্রায়াল রানের ব্যাপারে আগ্রহ ছিলো তাদের। কিন্তু চীনা ঠিকাদার কোম্পানি চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের যে প্রতিনিধি, তিনি দেশে গেছেন। অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি অপরিহার্য। তিনি ফিরবেন ৬ এপ্রিল। সেদিন আবার জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন। মন্ত্রী সেদিন সময় দিতে পারবেন না। পরদিন শুক্রবার বাদ দিয়ে শনিবার অর্থাৎ ৮ এপ্রিল পরীক্ষামূলক রেল চালানো হবে মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে, ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করছে। এই রুটে যুক্ত হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা। ২০২৪ সালের জুন নাগাদ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে। চীন সরকার মনোনীত ঠিকাদার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা থেকে মাওয়া এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ বসানোর কাজও দ্রুতগতিতে এগুচ্ছে। নির্ধারিত সময়েই ঢাকা-যশোর সরাসরি রেলযোগাযোগ চালু করা যাবে বলে তারা আশা করছেন।
এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা-যশোর-খুলনার মধ্যে ২১২.০৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট এবং বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপন করা হবে।
এমএএস