শিরোনাম
◈ অনুমোদনহীন হজ পালনে বিরত থাকার আহ্বান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ◈ চমচমের পর এবার টাঙ্গাইলের ‘জামুর্কীর সন্দেশ’ পেলো জিআই স্বীকৃতি ◈ নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় থাকবেন মালির অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট! ◈ ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক টানাপোড়েনে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা, বিপাকে দুই দেশের বাণিজ্য ◈ আগামী সাত মাস বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: চট্টগ্রাম বন্দর পরিকল্পনায় বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ◈ কী ‘উদ্দেশ্যে’ গাবতলীর হাট ইজারা বাতিল? ◈ সুনামগঞ্জে ৯০টি ভারতীয় গরুর চালান আটক  ◈ ইউ‌রোপা লি‌গে জি‌তে গে‌লো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ◈ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে মালামাল পাঠানোর নামে ৪০০ বস্তা সিমেন্ট মিয়ানমারে পাচার, ট্রলারসহ তিন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ ◈ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দাবিতে সরকারকে চাপে রাখতে শ‌নিবার ঢাকায় সমা‌বেশ হেফাজতের

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২৫, ০২:৫৯ রাত
আপডেট : ০২ মে, ২০২৫, ০৩:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ নারী ব্যাংক কর্মকর্তার, অতপর...

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ জালিয়াতি মামলায় আফসানা শাহিন মুন্নী (৩৬) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার খুলনা থানা–পুলিশ রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে খুলনার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আফসানা শাহিন মুন্নী সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক খুলনা শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার। তিনি মহানগরীর ইস্পাহানি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল আল হাদিস বাট্রি নামক এক মালয়েশিয়াপ্রবাসীর অ্যাকাউন্টে প্রেরিত রেমিট্যান্সের ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আফসানা শাহিন মুন্নীসহ ৮–৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার মোহাম্মদ সানোয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোল্লা জুয়েল রানার নেতৃত্বে একটি দল ঢাকা থেকে মুন্নীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রবাসীর পাঠানো রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে জানা যায়, বাদীর স্বামী আল হাদিস বাট্রি মালয়েশিয়ায় প্রবাসজীবন যাপন করেন। তিনি প্রবাসে থেকেই ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর অনলাইনে নিজ নামে খুলনা মহানগরীর আপার যশোর রোডের সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক খুলনা শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন।

পরে ওই অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় মোট ১০ লাখ ২ হাজার টাকা জমা করা হয়। তাঁর স্বামী চলতি বছরের ১৮ মার্চ দেশে ফিরে অর্থ উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাঁর অ্যাকাউন্টে মাত্র ৩ লাখ ২ হাজার টাকা রয়েছে এবং বাকি ৭ লাখ টাকা নেই বলে জানান।

তাৎক্ষণিক তিনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট বের করে দেখতে পান, গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আরটিজিএসের মাধ্যমে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে আসামিদের একজনের ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ৭ লাখ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আরটিজিএসের মাধ্যমে অর্থ ট্রান্সফার করতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবের দাতা বা হিসাবধারীর উপস্থিত থাকতে হয়। কিন্তু তাঁর স্বামী তৎকালীন সময় বিদেশে অবস্থান করছিলেন। এ সুযোগে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া লোক সাজিয়ে ও কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো সমাধান দেয়নি।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগেও ব্যাংক কর্মকর্তা আফসানা শাহিন মুন্নী জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাতে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে তিনি জনৈক গ্রাহকের অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হন। এসব কারণে কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা শাখা সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের ম্যানেজার হাফিজ আহমেদ বলেন, তিনি নতুন যোগদান করায় বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন। উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়