শিরোনাম
◈ রাশিয়ার ক্যানসার ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সফল ◈ আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম ◈ নতুন কূপের সন্ধান হবিগঞ্জে, মিলবে ২৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ◈ ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক আরোপে ভারতকে অপ্রত্যাশিত খেসারত দিতে হবে ◈ ‎তিস্তা নদীতে সরকারি বাঁধের নিচে অবৈধ বালু উত্তোলন: ধ্বংসের মুখে কোটি টাকার স্প্যার বাঁধ ◈ শেখ হাসিনার স্লোগান খামে সনদ বিতরণে নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজে তোলপাড় ◈ সেপ্টেম্বরের ৬ দিনে এলো ৬ হাজার ২৯৫ কোটি টাকার রেমিটেন্স  ◈ পাকিস্তানে ক্রিকেট মা‌ঠে  বোমা হামলা, নিহত ১ ◈ কিশোরগঞ্জে ১২ বছরের শিশু অন্তঃসত্ত্বা,ধর্ষক গ্রেফতার  ◈ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে বিমানের পাশাপাশি আসতে পারে দ্বিতীয় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার 

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২৫, ১১:২৩ দুপুর
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

আগামী সাত মাস বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: চট্টগ্রাম বন্দর পরিকল্পনায় বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের

মনিরুল ইসলাম: বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন।

পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়টা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতেও পারে, আবার ব্যর্থ করতেও পারে।’

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক বন্দর পরিচালকদের সঙ্গে অংশীদারত্ব ছাড়া এটি সম্ভব নয়। সফল হলে এমন অংশীদারত্ব আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে একটি শক্ত বার্তা পৌঁছে দেবে, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।

বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নাল বা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পড়লেই বোঝা যায়, ব্রেটন উডস চুক্তির পর যে পুরোনো অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা গড়ে উঠেছিল এবং যা ডব্লিউটিও (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) দ্বারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল, তা এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

শফিকুল আলম লিখেছেন, সেই যুগের সবচেয়ে বড় বিজয়ীরা ছিল জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া; যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বাজারমুখী রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলে সমৃদ্ধ হয়েছে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনও ধীরে ধীরে এই পথে অগ্রসর হয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়া পিছিয়ে ছিল।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘এখন হয়তো অবশেষে বাংলাদেশের সময় এসেছে। আমরা কি এই মুহূর্তকে কাজে লাগাতে পারব?’ রাজনীতি এখানে একটি মূল ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, তবে লজিস্টিক-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জই হতে পারে সবচেয়ে বড় বাধা। বৃহৎ পরিমাণ পণ্য দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিবহনের সক্ষমতা শিগগিরই পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ যে একটি উৎপাদনশীল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়, সে আকাঙ্ক্ষা মুখ থুবড়ে পড়বে।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বড় পরিকল্পনা

সরকার এই বিষয়টা গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে বছরে ৭.৮৬ মিলিয়ন কনটেইনার সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক মানের কোনো কম্পানিকে যুক্ত করার পরিকল্পনাও আছে।এটা সফল হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যজগতে পরিষ্কার বার্তা যাবে, বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত, বিনিয়োগের জন্য খোলা।

সামনের ছয়-সাত মাসই টার্নিং পয়েন্ট

শফিকুল আলম লিখেছেন, এই ছয়-সাত মাসই নির্ধারণ করে দেবে, বাংলাদেশ সত্যি কি পারবে রপ্তানিনির্ভর শিল্পশক্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে? আমাদের সামনে বড় একটা সুযোগ এসেছে। এখন দেখার বিষয়, আমরা কি সেটা কাজে লাগাতে পারব?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়