শাহাজাদা এমরান : [২] কুমিল্লা নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে একাধিক গুলিতে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা। পরে অফিসের ভেতরে গুলিবিদ্ধ সোহেলসহ চারজনকে রেখে দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে শার্টারে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে। মঙ্গলবার এমন বর্ণনা দেন ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মো. রাসেল। রাসেলের বাড়ি নগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুর।
[৩] কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রাসেল জানান, গোলাগুলির ঘটনা শুনে তিনি এগিয়ে যান। তিনি দেখেন কাউন্সিলর সোহেলের অফিসে ঢুকে গুলি করে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে এগিয়ে গেলে তাকেও গুলি করে। হাঁটুর নিচে বিপরীতে গুলি লাগে।
[৪] প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত দশজন জানান, পাথুরিয়া পাড়ার জগন্নাথ মন্দির এলাকার তিন রাস্তার মাথায় অবস্থিত দোকানঘরটিতে প্রথমে কাউন্সিলরকে সালাম দিয়ে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। তারা সবাই কালো পোশাক ও মুখোশ পরা ছিলো। তখন আসরের নামাজের জামাত হচ্ছিলো। প্রথম দিকে র্যাবের লোকজন মনে করে তারা কোনো প্রতিরোধের চেষ্টা করেননি। হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পায়।
[৫] জানা যায়, ওই গুলিটি করা হয় কাউন্সিলর সোহেলের মাথায়। এ সময় সহযোগী বাদল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও গুলি করা হয়। বাদল মারা যাওয়ার ভান করে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। পাশে থাকা হরিপদ ও আরো একজনকেও গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরিস্থিতি ভয়াবহ চিন্তা করে স্থানীয়রা ইটপাটকেল ছুঁড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এভাবে পঁয়তাল্লিশ মিনিট গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও স্থানীয়দের নিরস্ত্র প্রতিরোধের চেষ্টা চলতে থাকে। ৪৫ মিনিট পর হামলাকারীরা বউবাজার এলাকার দিকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তালা ভেঙে কাউন্সিলর সোহেলসহ চারজনকে উদ্ধার করেন।
[৬] প্রসঙ্গত, সোমবার নগরীর পাথুরিয়া পাড়া এলাকায় কাউন্সিলর কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এতে কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা মারা যান। গুলিবিদ্ধ হন আরো ৫ জন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :