শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৩১ রাত
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মা হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর এসএসসি পরীক্ষা দিল বীথি

নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলে সন্তান প্রসবের ১৮ ঘণ্টা পর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বীথি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী। রোববার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। জাগোনিউজ

বীথি আক্তার উপজেলার মোন্তাজনগর আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বাল্যবিবাহ ও সন্তান প্রসব তাকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে থামাতে পারেনি।

জানা গেছে, বীথি আক্তারের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সানবান্ধা গ্রামে। জেএসসি পাস করার পর উপজেলার মোন্তাজনগর গ্রামের রানা হাসানের সঙ্গে বীথির বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি থেকে সে ২০১৯ সালে মোন্তাজনগর আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে ক্লাস শুরু করে।

করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এসএসসি পরীক্ষা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরীক্ষার সময় নির্ধারিত না হওয়ার এক পর্যায়ে বীথি আক্তার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

শনিবার দুপুরে বীথির প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল চারটায় স্বাভাবিকভাবে বীথি ছেলে সন্তানের মা হয়।

হাসপাতাল থেকে রোববার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বীথিকে তার মা এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।

শিক্ষকরা জানান, বীথি আক্তার দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।

মোন্তাজনগর আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, মেয়েটি ভালো ছাত্রী। বিয়ের পর সে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। অন্যান্য মেয়ের মতো নিয়মিত ক্লাস করেছে। সে দমে যায়নি। বাল্যবিবাহ ও সন্তান প্রসব এসব বাধা তাকে থামাতে পারেনি।

তিনি বলেন, ‘সদ্য সন্তান প্রসবের কারণে বীথির পরিবার থেকে তাকে পরীক্ষা না দেওয়ার জন্য বললেও সে শোনেনি। বীথি আমাকে বলেছে, সে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে।’

সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সচিব এমদাদুল হক মিয়া বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে আমি মেয়েটির খোঁজ নিয়েছি। সে খুব সাহসের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।’

সখীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ উপজেলায় দুই শতাধিক মেয়ের বাল্যবিবাহ হয়েছে। বাল্যবিবাহ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় তিনি বীথিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

অন্যদিকে সখীপুর উপজেলায় এবারের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় ৪৫ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। এরমধ্যে ২৪ জন ছাত্রী ও ২১ জন ছাত্র। এসএসসিতে অনুপস্থিত ২১ জনের মধ্যে ১১ জনই ছাত্রী।

দাখিলে অনুপস্থিত ২৪ জনের মধ্যে ১৪ জন ছাত্রী। বাল্যবিবাহ হওয়ায় মেয়েরা এবং পরিবারের চাপে রোজগারে নেমে পড়ায় ছেলেরা ঝরে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়