কিযী তাহ্নিন: আমার অস্ট্রেলিয়ান বস শ্যারন। কড়া, রাগী ততোধিক ন্যায়পরায়ণ, ভালোবাসায় ভরপুর। প্রতিবার মিটিংয়ে বলতেন, ‘শরীর অসুস্থ হলে ছুটি নিও না শুধু, কিছু ছুটি বাঁচিয়ে রেখো ওইদিনের জন্য যেদিন কাজ করতে ইচ্ছে করছে না, মন ক্লান্ত একই কাজ করতে করতে। সেদিন ছুটি নাও। খামাখা অনিচ্ছা নিয়ে যেদিন অফিসে আসবে, তোমারও সময় নষ্ট, অফিসেরও।’ কিন্তু আসলে ছুটি কী, কে জানে? হয়তো ছুটি নিলাম একদিন। যেদিন কাজের ভার কম। যেদিন নিজের জন্য রাখা যায়। সেদিন আমার।
আমি রক অ্যান্ড রোল নাচতে পারি, গান গাইতে পারি, ঘুমাতে পারি, পড়তে পারি লিখতে পারি, হাসতে পারি, কাঁদতে পারি এবং কিছুই না করতে পারি। সেদিন আমাকে সারাদিন অনলাইনে দেখা যেতে পারে, কিংবা অফলাইনে এবং অতীব প্রয়োজন না জরুরি ঘটনা না হলে সহকর্মী, বা যাদের সাথে কাজের সম্পর্ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ নাও করতে পারি। এমন এক ছুটির দিনে, একজন ফোন দিলেন। আমি মেসেজে করলাম ‘আমি ছুটিতে।’ উত্তর এলো, ‘ঠিক আছে, ই-মেইল একটু চেক করেন।’ আমি উত্তর দিলাম, ‘আমি ছুটিতে।’
উত্তর এলো, ‘বাসায় তো বসেই থাকবেন ছুটিতে, একটু ই-মেইল চেক করে রিপ্লাই দিয়ে দিয়েন, বাসায় বসে।’ আমি আবারও উত্তর দিলাম, ‘আমি ছুটিতে।’ ‘আমি কাজে’ এবং ‘আমি ছুটিতে’র পার্থক্য বুঝতে পারলে হয়তো একদিন ‘ছুটি’ বেচারা একটু শ্রদ্ধা পাবে, আর ‘কাজ’ পাবে ভালোবাসা। ফেসবুক থেকে