আশীফ এন্তাজ রবি : সপ্রতি বিদেশি চ্যানেলের সপ্রচার বন্ধ করা হয়েছে। এটি একটি অভাবনীয় কাজ হয়েছে। বিশ্বের জন্য এটি রোল মডেল হয়ে ইতিহাসের পাতায় সুতন্বী এমজি ফন্টে লেখা থাকবে। এবার দেশের নির্মাতারা বগল বাজাতে পারেন। দেশি কনটেন্ট না দেখে পাবলিক যাবে কোথায়। আরেকটি কাজ করা যেতে পারে‘জাতীয় টেলিভিশন আইন’ নামে একটি নয়া কানুন চালু করতে পারেন। এ আইনের আওতায় সপ্তাহে পাঁচটি নাটক, একটি করে মাটি ও মানুষ, হিজল তমাল, কেকা রেসিপি না দেখলে দুই বছরের জেল ও দুই কোটি টাকা জরিমানার বিধান করা যেতে পারে।
লোকজন আসলেই দেশি মাল দেখছে কিনা, এটা যাচাই বাছাইয়ের জন্য বছর শেষে বিসিএস পরীক্ষার আদলে একটি পরীক্ষা হতে পারে। পরীক্ষার তিনটি অংশ থাকবে। প্রথমে টিক মার্ক পরীক্ষা, দ্বিতীয় পর্বে লিখিত পরীক্ষা, সর্বশেষ আমাদের অতিপ্রিয় ‘ভাইভা’। পরীক্ষায় ফেল করলে রিমান্ডে নিয়ে তাদের জোর করে দেশি নাটক, সিনেমা দেখানো হবে। এর বাইরে ভ্রাম্যমান আদালত করা যেতে পারে। তারা বিনা ওয়ারেন্টে ঘরে ঢুকে তল্লাশি করবেন, মানুষ দেশি জিনিস দেখছে কিনা। বইমেলায় বিদেশি প্রকাশনী বই বিক্রি নিষিদ্ধ বহু আগে থেকে। সিনেমা হলেও বিদেশি সিনেমা দেখানো হয় না। ‘এখন অবশ্য কিছু কিছু দেখানো হয়।’ এই দুই কাজের পক্ষে যুক্তি ছিলো দেশীয় সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো। এবার টেলিভিশনও সেই আওতায় পড়লো। আমার ধারণা, সৃজনশীলতার বাম্পার ফলন এবার ঠেকানোর উপায় থাকবে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :