সোমনাথ সেনগুপ্তা : [১] সবার আগে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন। এই জিনিসে কোনো কম্প্রোমাইজ করবেন না। মরে গেলেও না।
[২] আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা কখনো বিসর্জন দেবেন না। তাতে মরে যেতে হলে, যাবেন।
[৩] চোখ বন্ধ করে কোনো পুরুষকে বিশ্বাস করবেন না। পুরো ভদ্রলোক মার্কা স্যার, বাবার বন্ধু, মামার ফ্রেন্ড, বড় ভাইয়ের বন্ধু একদম ফ্যামিলি পারসন, এরকম-এমন কারও সঙ্গে একা কোথাও থাকবেন না। Be careful whom you trust, the devil was once an angel.
[৪] বান্ধবীর বাড়িতে যেতে হলে পরিবারকে জানান। ফোন নম্বর মা, বাবা, বড় ভাই, দিদিকে দিয়ে যান। সবসময় নিরাপদে যতো দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফিরবেন। রাতে চেষ্টা করবেন না থাকার। থাকলেও ওখানকার পরিবেশ দেখে নেবেন।
[৫] নিজের ভববষরহমং- কে সব সময় প্রাধান্য দেবেন। দেখে কিছুই মনে হয় না, খুব ভালো মানুষ, কিন্তু মন কেন যেন ব্যক্তিটাকে পছন্দ করে না। এমন হলে সেই ব্যক্তি থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। trusting your 'Gut Feeling' is often the best strategy to save yourself.
[৬] নিজের আবেগ সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। মেয়েরা আবেগের কারণে ভিক্টিম হয়।
[৭] ফ্যামিলিকে সব সময় পাশে রাখবেন। ফ্যামিলিকে, বিশেষ করে মাকে বন্ধু বানান। তার সঙ্গে সব যেন শেয়ার করা যায় এমনভাবে সম্পর্ক করবেন, বাবা-মায়ের গোপনে কিছু কররেন না। victim হলে আপনি হবেন। তখন বাবা মা স্রেফ এই ভাববে ‘মেয়েটা আমাদের বললো না কেন’
[৮] কাউকে বিশ্বাস করার আগে ১০০ বার ভাববেন। You read it right. ১০০ বার।
[৯] নিজেকে ভালোবাসুন। এটা খুব দরকার। আপনি কালো, শর্ট, মুখে ব্রন --বিলিভ মি এগুলো কিচ্ছু না। ভগবান আপনাকে যেভাবে বানিয়েছেন আপনি সেভাবেই সুন্দর। আপনার মেধা, ব্যক্তিত্ব দেখে যেন একটা ছেলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে ওইভাবে তৈরি করেন।
[১০] সব সময় সত্যকে পাশে রাখবেন। মিথ্যা অনেক সহজ। অন্যায় অনেক আনন্দ দেয়। কিন্তু তা সব সময় ক্ষণিকের জন্য। সত্য সব সময়ের জন্য। তা যতো কষ্টের হোক।
[১১] জীবন অস্বাভাবিক সুন্দর। হতাশা, unexpected crisis, unexpected incident এগুলো লাইফের পার্ট।ও আচ্ছা, এমন হলো। ঠিক আছে। এরপর কি?-লাইফের প্রতি এমন attitude রাখলে লাইফ আর সুবিধা করতে পারে না। পেইন দেওয়ার আগে ভাববে একে পেইন দিয়ে লাভ নেই।
[১২] গাড়ির ড্রাইভার, এপার্টমেন্টের দারোয়ান এই দুই দলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। এই দুই দলের মানুষ বিপদে চরম সাহায্য করে।
[১৩] অতীত নিয়ে একদম ভাববেন না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নেবেন। সুন্দর একটা স্মৃতি কি দ্বিতীয় বার একইভাবে আনন্দিত করবে আপনাকে? কখনোই না প্রথমবারের থেকে কম আনন্দের অনুভূতি দেবে। তাহলে অতীতের দুঃখ কেন বারবার কাঁদাবে? সময় নেই, অতীত নিয়ে ভাবার - এভাবে ভাবেন। ইউ উইল বি হ্যাপি। ফেসবুক থেকে