সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা ৩০ বছর দীর্ঘ-মেয়াদী যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, সেই কার্যক্রম আমরা আরম্ভ করেছি। এরই মাঝে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা প্রাথমিক কার্যক্রমও আরম্ভ করেছে।
[৩] মেয়র আরো বলেন, আমরা সেই মহাপরিকল্পনায় ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেবো। এলাকার চাহিদা নির্ধারণ করে এবং জনঘনত্বকে বিবেচনায় নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে আমাদের মহাপরিকল্পনার আওতায় আনা হবে।
[৪] মঙ্গলবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ৯ম বোর্ড সভায় এ কথা বলেন।
[৫] মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকা শহরে যে সকল সরকারি সংস্থা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে তাদেরকে নিয়ে ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে আমরা একটি মতবিনিময় সভা করেছি। আপনাদেরকে নিয়েও একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। সেখানে আপনারা আপনাদের সুচিন্তিত মতামত দেবেন, আপনার এলাকার উন্নয়নকে তুলে ধরবেন, আপনাদের চাহিদা তুলে ধরবেন।
[৬] তিনি বলেন, আগের বছরগুলোতে ঢাকা শহর অল্প বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয়ে যেতো। আষাঢ় মাসের প্রথম দিকে যে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে, তখন কয়েক ঘণ্টার জন্য জলমগ্নতা হয়েছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে যদি আমরা দেখি, তাহলে এই বছরে অন্যান্য বছরের তুলনায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত রাখতে পেরেছি।
[৭] এ সময় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করতে কাউন্সিলরদের চলমান সার্বিক তৎপরতার প্রশংসা করেন এবং ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গুর প্রকোপ হতে মুক্তি দিতে আরও জোরদার করার আহবান জানান।
[৮] বোর্ডসভায় করপোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভাগের দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।