কামরুল হাসান মামুন: হেলেনা জাহাঙ্গীর, কামরুন নাহার মুকুল, অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপু, পরীমনি, উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীম, পাপিয়ারা ভাগ্য দোষে সমাজে উম্মোচিত হয়ে গিয়েছে। এ দেখে আমাদের ভাবখানা এমন যেন এইরকম খারাপ মানুষ আমরা জনমেও দেখিনি। সমাজটা এখন এইরকম মানুষে ভরপুর। সিস্টেমটাই এখন এমন যে এমন মানুষেরই চাষ হয়। এরা উম্মোচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এদের সবাই সম্মান করে, এদের সাথে আত্মীয়তা করতে মুখিয়ে থাকে। এই সমাজ আর সুস্থ স্বাভাবিক নেই। অনেক আগেই পঁচে গেছে। এই পচাগলা থেকে যে গন্ধ বের হয় সেই দুর্গন্ধ আমাদের নাকও টের পায় না। সয়ে গেছে। টেনারি এলাকায় বসবাস করলে যেমন এক সময় আর চামড়া পচা গন্ধ পাওয়া যায় না বরং ফুলের গন্ধই অসহ্য হয়ে যায় আমাদের অবস্থও এখন তেমনি। সরকারও এদের চায়। এরাই সরকারের আরাধ্য। তবে ততদিনই আরাধ্য যতদিন এরা উম্মোচিত না হয়। খুব বেশি প্রয়োজনীয় হলে সাময়িকভাবে জেলে নিয়ে শাস্তি দিয়ে অপেক্ষা করে কখন মানুষ ভুলে যাবে। তারপর আবার কাছে টেনে নেয়। ভালো মানুষরা এই সমাজে এখন অপাংতেয় বর্জ্যের মত।
বেশি ক্ষমতাবান হলে বা বড় ক্ষমতাবানের ব্লেসিং থাকলে উম্মোচিত হলেও কোন না কোন তরিকা বের করে চুনকাম করে সাদা বানিয়ে দেওয়া হয়। যেমন হাজি সেলিমের ছেলে। প্রকাশ্যে একজন অফিসারকে মারলো। ধরার জন্য বাসায় গিয়ে মদও পেল। কিন্তু এখন খালাস।
সমস্যা হলো এই পচাগলা মানুষ এখন শিক্ষকতা পেশাতেও ঢুকে গেছে। শুধু ঢুকে যায়নি। এরা প্রচন্ড ক্ষমতাবানও। ফলে এইসব প্রতিষ্ঠান এখন পচাগলা মানুষ তৈরির কারখানা।
আপনার মতামত লিখুন :