জেরিন আহমেদ: [২] করোনার ভয়াবহ থাবায় বিপর্যস্ত বেশিরভাগ জেলা। হাসপাতালগুলোতে চরম শয্যা ও অক্সিজেন সংকট। রোগীদের নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন স্বজনরা।
[৩] গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন খুলনায় (২৩ জন)। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ফরিদপুরে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ।
[৪] জেলা প্রতিনিধিদের পাওয়া খবর অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা জেলায়। বাকিদের মধ্যে কুষ্টিয়ায় ১৪, যশোরে ৯, ঝিনাইদহে ১০, চুয়াডাঙ্গা ৬, মেহেরপুরে ৫, বাগেরহাটে ২, নড়াইল ও মাগুরায় একজন করে মারা গেছেন।
কুষ্টিয়ায় ২২ জন মারা গেছেন করোনা ও উপসর্গ নিয়ে। ২৪ ঘণ্টায় ৭৯২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ২২০ জন। রাজশাহী মেডিকেলে মারা গেছেন ১৮ জন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁর ৬ জন এবং কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জের একজন করে। তবে কমেছে সংক্রমণের হার।
উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বগুড়ার তিনটি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬ জন । শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ।
করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন করে মারা গেছেন ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও যশোরে। ঝিনাইদহে ১৩ জন ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে। চট্টগ্রামে দুই হাজার ১০০ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৭৫৪ জন।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশালে ৮ জন করে, সিলেটে ৬ জন, টাঙ্গাইল ও মেহেরপুরে ৫ জন করে, নোয়াখালীতে ৪ জন, আর ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জন মারা গেছেন।