শিরোনাম
◈ সাত দিন পি‌ছি‌য়ে যাচ্ছে বিপিএল  ◈ প্রথমবার বিশ্বকাপ জিত‌লো পর্তুগাল ◈ আগামী বছর রোনাল‌দো-জর্জিনার বি‌য়ে! বাড়ির কাছে ৫০০ বছরের পুরনো চার্চেই বিবাহ আসর ◈ বাংলাদেশে একটি আইএমইআই-এর বিপরীতে ১০ লাখ মোবাইল, বৈধতা নেই ১৯ লাখ আইফোনের! ◈ রাজধানীর বাজারে কমেছে চালসহ তিন পণ্যের দাম, অস্বস্তি বাড়াচ্ছে সবজি ◈ সমালোচনামূলক কনটেন্ট সরাতে ছয় মাসে গুগলের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের ২৭৯ অনুরোধ ◈ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফুল পাঠালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ◈ দেড় দশকের গোপন ঋণ উদঘাটন: কেন হঠাৎ আকাশছোঁয়া খেলাপি? ◈ সাত দিনে সাত ভূমিকম্প: কাঁপছে দেশ, ভূগর্ভে কী সংকেত দিচ্ছে প্লেটগুলো? ◈ ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেবেন’ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৮ দুপুর
আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যিনি প্রথম বাবরি মসজিদে আঘাত করেছিলেন

বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশ নিয়ে পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করা নওমুসলিম মুহাম্মাদ আমের—সাবেক শিবসেনা কর্মী বলবীর সিং—সন্দেহজনকভাবে মারা গেছেন। ২৩ জুলাই ভারতের তেলাঙ্গানা প্রদেশের হায়দারাবাদে তাঁর ভাড়া বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করলে স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত নয়। পরিবারের পক্ষ থেকে সন্দেহজনক মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেলে তারা তদন্ত শুরু করবে।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় প্রথম শাবল চালানো ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন বলবীর সিং। সেই সময় তিনি শিবসেনা কর্মী হিসেবে দলীয় সহকর্মী যোগেন্দ্রপালের সঙ্গে অভিযানে অংশ নেন। ঘটনার পর বলবীরের পরিবার তাকে প্রত্যাখ্যান করে; তাঁর বাবা দৌলতরাম ছেলেকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। ছেলে মসজিদ ভাঙায় জড়িত থাকায় শোকেই তিনি কিছুদিনের মধ্যে মারা যান বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।

চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো—যে শাবল দিয়ে বলবীর সিং বাবরি মসজিদের ইট ভেঙেছিলেন, সেই দুটি ইট পরে পানিপথের শিবসেনা অফিসে ‘গৌরবের নিদর্শন’ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।

তবে এর কিছুদিন পরই তার জীবনে বড় পরিবর্তন আসে। ১৯৯৩ সালে প্রখ্যাত দাঈ মাওলানা কালিম সিদ্দীকির কাছে ইসলাম গ্রহণ করেন বলবীর সিং। ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর নাম রাখা হয় মুহাম্মাদ আমের। এরপর প্রায় ২৪ বছর (২০১৭ সাল পর্যন্ত) তিনি উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভেঙে পড়া বা পরিত্যক্ত প্রায় একশ’টি মসজিদ নিজ হাতে সংস্কার করেন—যা তাঁর ‘অনুতাপের প্রতীক’ হিসেবে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল।

একসময় বাবরি ধ্বংসে অংশ নেওয়া এই ব্যক্তি পরবর্তীতে ইসলামের শান্তির বার্তা প্রচারে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করেন। তবে তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় মহলে।

সূত্র: জনকণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়