বিপ্লব বিশ্বাস: [২] ৭৫ কিশোর গ্যাং এর ৭৫ কিশোর নেতাকে গ্রেপ্তারে নেমেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। ইতোমধ্যে গতরাতে র্যাব অভিযান চালিয়ে বেশকিছু কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে।
[৩]সূত্র জানায়, কিশোর গ্যাংয়ের রাজধানীর ধানমন্ডিতেই রয়েছে অন্তত তিনটি গ্রুপ- একে ৪৭, নাইন এম এম, ফাইভ স্টার গ্রুপ। রায়েরবাজার এলাকায় সক্রিয় স্টার বন্ড গ্রুপ ও মোল্লা রাব্বি গ্রুপ; মোহাম্মদপুরে গ্রুপ টোয়েন্টি ফাইভ, লাড়া দে, লেভেল হাই, দেখে ল-চিনে ল এবং কোপাইয়া দে গ্রুপ। তেজগাঁওয়ে মাঈনুদ্দিন গ্রুপ; মিরপুরে বিহারি রাসেল গ্যাং, সুমন গ্যাং, বিচ্চু বাহিনী, পিচ্চি বাবু, সাইফুলের গ্যাং, সাব্বির গ্যাং, বাবু-রাজন গ্যাং, রিপন গ্যাং, মোবারক গ্যাং এবং নয়ন গ্যাং।
[৪]পুলিশ বলেছে, কিশোর অপরাধীরা এখন শুধু ইভটিজিং কিংবা ছিনতাই করছে না; হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ ও মাদক ব্যবসায়ও জড়িয়ে পড়ছে।
[৫]র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, তুরাগে তালাচাবি গ্যাং; উত্তরায় পাওয়ার বয়েজ, ডিসকো বয়েজ, বিগ বস, নাইন স্টার, নাইন এম এম বয়েজ, এন এন এস, এফ এইচ বি, জি ইউ ক্যাকরা, ডি এইচ বি, ব্লাক রোজ, রনো, কে নাইন, ফিফটিন গ্যাং, ডিসকো বয়েজ, সুজন ফাইটার, আলতাফ জিরো, ক্যাসল বয়েজ, ভাইপার, তুফান এবং থ্রি গোল গ্যাং। দক্ষিণখানে শাহীন-রিপন গ্যাং; উত্তরখানের বড়বাগের নাজিমউদ্দিন গ্যাং, শান্ত গ্যাং মেহেদী গ্যাং, সোলেমান গ্যাং, রাসেল এবং উজ্জ্বল গ্যাং। এছাড়া ওয়ারী ও লালবাগ এলাকায় বাংলা ও লাভলেট জুম্মন গ্যাং; মুগদায় চান-জাদু, ডেভিল কিং ফুল পার্টি, ভলিয়ম টু ও ভান্ডারি গ্যাং; চকবাজারে টিকটক গ্যাং উল্লেখযোগ্য। এদের গ্রেপ্তারে র্যাব কাজ করছে।
[৬]ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর কিশোর গ্যাং কালচারের তৎপরতা বেড়েছিল। মাঝে পুলিশের অভিযানে কমে যায়। সম্প্রতি তা আবার বাড়ানো হয়েছে।
[৬]তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংয়ে জড়িতদের অধিকাংশই নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাদের অপতৎপরতা রোধে কাজ করছে ডিএমপি। এরই মধ্যে রাজধানীতে দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর অপরাধীদের তালিকা করা হয়েছে। ২৫টির মতো গ্যাং শনাক্ত হয়েছে। তাদের সদস্য সংখ্যা চার শতাধিক। তালিকা ধরে খুন, ধর্ষণ, ইভটিজিং, ছিনতাইসহ বড় অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
[৭]র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরো বলেন, গত তিন বছর ধরে কিশোর গ্যাং কালচার বন্ধ, কিশোর অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং তাদের সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর কাজ করে আসছে র্যাব। এ মুহূর্তে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। এটা এখনই বন্ধ করা দরকার। কিশোর অপরাধীরা এখন শুধু ইভটিজিং কিংবা ছিনতাই করছে না; হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ ও মাদক ব্যবসায়ও জড়িয়ে পড়ছে। তবে, কিশোর গ্যাং কালচার বন্ধ করা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ নয়, পরিবার-সমাজসহ সব সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনকেও এগিয়ে আসতে হবে।