জাহিদুল কবির: যশোরের মণিরামপুরেন অমুসলিম মেয়ের ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে পিতাসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার লেবুগাতি গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী হুমারা আক্তার অন্তিকা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক গৌতম মল্লিক অভিযোগে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন লেবুগাতি গ্রামের সন্দিপ অধিকারী, মৃততারাপদ দাসের ছেলে সুবোধ কুমার দাস ও মৃত নিরাপদ অধিকারীরর ছেলে পরিতোষ অধিকারী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, লেবুগাতি গ্রামের আব্দুল মাজিদ একই গ্রামের সন্দিপ অধিকারীর মেয়ে হুমাইরা আক্তার অন্তিকাকে প্রাইভেট পড়াতেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্তিকা গত ২৫ মার্চ সেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও ২৬ মার্চ আব্দুল মজিদকে বিয়ে করে। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকে। অন্তিকার গর্ভে সন্তান আসে। এ সংবাদ জানতে পেরে তার পিতা চরমভাবে ক্ষিপ্তহয়ে ওঠে।
গত ১০ এপ্রিল আব্দুল মজিদ ও তারভাইকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে মামলা করে তার পিতা। পুলিশ অভিযোগে ভিত্তিতে অন্তিকাকে উদ্ধার করে আদালতে জবানবন্দি গহনের জন্য সোপর্দ করে। অন্তিকা তার জবানবন্দিতে আব্দুল মজিদ তাকে অপরহণ করেনি সেচ্ছায় ইসলামধর্ম গ্রহন করে তাকে বিয়ে করেছেন বলে জানায়। এরপর অতিন্তকার পিতা তাকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। অন্তিকাকে জোর করে পুঃনরায় হিন্দু ধর্মে দিক্ষিত ও ২৮ এপ্রিল আব্দুল মজিদকে তালাক পাঠায়।
২৯ এপ্রিল অন্তিকাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এনে অল্টাসনো করে গর্ভে সন্তান আছে বলে নিশ্চিত হয়ে তারপিতা। এরপর হাসপাতালের আয়া দিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়। পরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গত ১৯ মে পুনরায় আব্দুল আজিজকে বিয়ে করে এক আত্ময়ী য়ের বাড়িতে বর্তমানে অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেয়ে পুলিশ তা গ্রহন নাকরায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :