পৃথা ইসলাম কনক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে প্রত্যেক ভালোবাসা দিবসে তাহসান ফুলের তোড়া নিয়ে গিয়ে মিথিলার বাসার সামনে রেখে আসতো। গতানুগতিক প্রেমিক প্রেমিকারা যেটা করে তারা-ও ঠিক সেটাই করতো, খুবই সিম্পল!
অথচ এই প্রেম নাকি কিছু আমজনতার কাছে শিক্ষনীয় প্রেম। এমন অস্থির প্রেম তারা বাপের জন্মেও দেখে নাই।
২০০৬ সালের ৩ আগস্ট তাহসান মিথিলার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাহসানের বয়স ছিল ২৬ বছর অপরদিকে মিথিলার বয়স ছিল ২৩ বছর। পৃথিবীর অন্য সব পাত্র-পাত্রীর যেভাবে বিয়ে হয় তাঁদেরও ঠিক সেভাবেই বিয়ে হয়েছিল।
অথচ এই বিয়ে নাকি কিছু আমজনতার কাছে শিক্ষনীয় বিয়ে। এমন বিয়ে তারা মায়ের জন্মেও দেখে নাই।
তারপর সমস্ত দেশটারে প্রেম আর বিয়ে সংক্রান্ত এতো এতো শিক্ষা দিয়ে এই দম্পতি একে অপরকে ডিভোর্স দিলেন। পৃথিবীর অন্য সব দম্পতি একে অপরকে যেভাবে ডিভোর্স দেন, তারা-ও ঠিক সেভাবেই ডিভোর্স দিলেন।
অথচ এই ডিভোর্স নাকি কিছু আমজনতার কাছে শিক্ষনীয় ডিভোর্স। এমন ডিভোর্স তারা বাপ মা কারও জন্মেই দেখে নাই!
মজার ব্যাপার হলো, ডিভোর্সের ৫ বছর কেটে গেছে। এই ৫ বছর পর তারা ফেসবুক লাইভে এসে কি বলছে না বলছে সেইটাও নাকি কিছু আমজনতার কাছে শিক্ষনীয় লাইভ।
মানে দুনিয়ার সব শিক্ষা এরা তাহসান আর মিথিলার কাছ থেকেই পাইছে। এদের বাবা মা, শিক্ষক শিক্ষিকা, আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী সব বানের জলে ভাইসা গেছে, সব!