মিজানুর রহমান: ঘৃণা প্রকাশ করছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমের প্রতি। ঘৃণা ভরে প্রত্যাক্ষাণ করছি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বক্তব্য।
রোজিনা ইসলাম স্বনামধন্য পুরস্কার প্রাপ্ত অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তিনি সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত আছেন দেশের সর্বাধিক পাঠক প্রিয় প্রথম আলো পত্রিকায়। তাঁর স্বামী মিঠু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহসী ভূমিকা রেখে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত আছেন।
রোজিনার বড় ভাই আনিসুল হক যিনি ইতোমধ্যে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছেন তাঁর লেখনী, দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলীর কারনে। এই রকম একজন মানুষকে প্রতিহিংসার বশবতী হয়ে ক্ষমতার দাপটে মিথ্যা অভিযোগে অন্যায় ভাবে শারীরিক নির্যাতন করে প্রশাসনিক প্রভাবে কারাগারে প্রেরণ করে।
রোজিনাকে প্রিজনভ্যানে দেখে ভাই আনিসুল হক আদালতের সিড়িতে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর কি-ইবা করার আছে তাঁর। এ কান্না অসহায়ত্বের, ঘৃণার, অপমানের। আনিসুল হকের কান্নায় সচেতন মানুষের হ্যদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। আমাদেরই বা কি করার আছে, সরকার প্রশাসনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ার সুযোগে সরকারকেই গিলে খাচ্ছে তারা।
তবে এতোটা বাড়াবাড়ি কিন্তু বিপদ টেনে আনতে পারে। অতীতে প্রকাশ্য রাজপথে সচিবের বস্ত্র হরনের ঘটনা এ ঢাকা শহরে হয়েছিল। আমরা তেমনটা চাই না। আমরা সরকার ও প্রশাসনের নিকট ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রত্যাশা করি। আশা করি সরকার দ্রুতই রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করবে।
রোজিনা আপা আর আনিসুল হকের উদ্দেশ্য বলতে চাই এই নষ্ট সময়ে কষ্ট বয়ে বেরানো ভীতু মানুষ আমরা যদি কোনদিন সাহসে বুক বেধে উর্ধাকাশে হাত তুলে বলতে পারি এই অন্যায় মানিনা মানবো না তবেই প্রশাসনের হায়নাদের আঁচড় থেকে মুক্তি মিলবে।
মিজানুর রহমান, সভাপতি বাংলাদেশ, পথ নাটক পরিষদ