শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০২১, ০৯:১৪ সকাল
আপডেট : ১৮ মে, ২০২১, ০৯:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাতির পিঠে চড়ে এলেন বর, বিয়ে করে নিয়ে গেলেন কনেকে

ডেস্ক রিপোর্ট : কলেজে পড়া অবস্থায় পরিচয়, তারপর টানা আড়াই বছরের প্রেম, অতঃপর পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে বিয়ে। আর এই বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে হাতির পিঠে চড়ে এলেন বর।

রোববার (১৬ মে) এমন বিয়ের উৎসব উদযাপন হয় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত সগুনা ইউনিয়নের মাকড়শোন গ্রামে। এ বিয়ে দেখতে ভিড় জমায় এলাকার হাজার হাজার উৎসুক জনতা।

হাতির পিঠে চড়ে আসা বর মো. সাগর মন্ডল (২৪) আসেন নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা বাহাদুর পাড়া গ্রাম থেকে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল জব্বার মন্ডলের ছেলে। আর কনে তানজিলা আকতার বীথি (২৪) তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের মাকড়শোন গ্রামের তোজাম্মেল প্রামানিকের মেয়ে।

সোমবার (১৭ মে) রাতে স্থানীয় সগুনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল বাকী বাংলানিউজকে এমন বিয়ের তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, হাতিতে চড়ে বিয়ের আয়োজন এ এলাকায় ব্যতিক্রমী ঘটনা। তাই বিয়ে বাড়িতে বর-কনে ও হাতি দেখতে আশপাশের কয়েক গ্রামের লোকজন ভিড় জমান। বিয়ে নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে উচ্ছ্বাসও দেখা যায়।

 

জানা যায়, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর শহীদ শামসুজ্জোহা কলেজের ইসলামের ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাগর। বীথিও পড়েন একইসঙ্গে। কলেজে পড়া অবস্থায় তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের পরিণতি হিসেবে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নেন। আর এই বিয়ের উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। রমজান মাসের শুরুর দিকে দু’জনেই তাদের অভিভাবকদের তাদের ভালোবাসার বিষয়টি জানান। এরপর দু’পরিবারের অভিভাবকরা কয়েক দফা বৈঠকের পর বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন ঈদের দু’দিন পর রোববার।

হাতির পিঠে চড়ে কনে আনতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা পরিবারকে জানান তারা। সন্তানের ইচ্ছা পূরণে বাবা আব্দুল জব্বার ৩০ হাজার টাকায় একদিনের জন্য একটি হাতি ভাড়া করে নিয়ে আসেন। দুপুরের দিকে হাতির পিঠে চড়ে বর সাগর মন্ডল পেছনে সারিবদ্ধ বরযাত্রী নিয়ে ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিকেল নাগাদ মাকড়শোন গ্রামের কনে তানজিলার বাড়িতে পৌঁছান। আর হাতির পিঠে চড়ে বর আসার খবরে বর ও হাতিকে দেখতে কনের গ্রাম মাকড়শোন ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের উৎসুক শিশু-নারী ও লোকজন ভিড় জমান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর হাতির পিঠেই কনেকে সাথে নিয়ে যান বর।

বর সাগর মন্ডল বলেন, প্রেমকে অমর করতে কতজন কত কী করেন। আমার ও তানজিলার বিয়ে মনে রাখার মতো করতে আমাদের এটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। কলেজে লেখাপড়া করার সময়ে বীথির সাথে প্রথম পরিচয় হয়। এর পর থেকে বন্ধুত্ব, তারপর ভালো লাগা, এরপরই প্রেম নিবেদন। আড়াই বছরের প্রেমের পর আমরা বিয়ে করলাম।
সূত্র-বাংলানিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়