রহিদুল খান:[২] শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আরও বেগবান করতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের (টিএসসি) বর্তমান ভবনটি আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।
[৩] রোববার যবিপ্রবির প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় টিএসসির এই ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যান্ত সংক্ষিপ্তভাবে এ ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে মিলনায়তন, প্রশাসনিক, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস, ক্যানটিনসহ বিভিন্ন সুবিধা থাকবে।
[৪] ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্যে দেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি বলেন, গত চার বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে যেভাবে গতিশীল করা হয়েছে, বেগবান করা হয়েছে; আশা করি, আগামী দিনেও তা চলমান থাকবে। যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারের আরটি-পিসিআর টেস্টিং ল্যাবের করোনা পরীক্ষায় নিয়োজিতদের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তিনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে আগামী ৬ মাস পর্যন্ত দেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর প্রথম মাসের ৫০ হাজার টাকা তিনি যবিপ্রবি উপাচার্যের হাতে তুলে দেন।
[৫] অনুষ্ঠানে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা করার অনুমতি পেয়েছে। আশা করি, ঈদের পর এটি আমরা শুরু করতে পারবো। এই অনুমতি প্রাপ্তির জন্য সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদসহ যশোরের অনেকের প্রচেষ্টা ছিল। এ জন্য সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে জিনোম সেন্টারের পাশে দাঁড়ানোয় কাজী নাবিল আহমেদকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিছুদিন আগে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জিনোম সেন্টার পরিচালনায় এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, এ জন্য তাকেও আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।