আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটি ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কম সংক্রামক হলেও বেশি প্রাণঘাতী।
[৩] ভারতে তৈরি হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটির নাম গবেষকেরা দিয়েছেন বি-ওয়ান-সিক্সসেভেনটিন। গত অক্টোবরে এটি প্রথম শনাক্ত হয়। সে সময় সবে ভারত করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দিয়ে উঠছে। তবে গত মার্চ থেকে দেশটিতে সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল
[৪] ভাইরাসের নতুন ধরনটি কতটা ছড়িয়েছে, তা নির্ণয়ে ভারতে বড় পরিসরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনো হয়নি। তবে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সংগৃহীত ৩৬১টি নমুনার মধ্যে ২২০টিতেই নতুন এই ধরনটি শনাক্ত হয়েছে। বৈশ্বিক তথ্যভান্ডার জিআইএসএআইডি-এর তথ্যমতে, করোনাভাইরাসের নতুন ওই ধরনটি এরই মধ্যে অন্তত ২১টি দেশে ছড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি নাগাদ যুক্তরাজ্যে ১০৩ জনের শরীরে নতুন ওই ধরনটি পাওয়া গেছে। বিবিসি
[৫] ভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি আরও বেশি সংক্রামক কি না গবেষকেরা এখনো সে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি । এমনকি করোনার যে টিকাগুলো দেশে দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলো এই ধরনের বিরুদ্ধে কার্য কর কি না, তাও এখনো স্পষ্ট নয়। রয়টার্স
[৬] যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জেরেমি কামিল বলেন, ভারতে করোনাভাইরাসের যে পরিবর্তনগুলো ঘটেছে, তার মধ্যে দুটি পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে একটি পরিবর্তনের পর ভাইরাসটির প্রকৃতি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে তৈরি হওয়া করোনাভাইরাসের ধরনের সঙ্গে মিলে যায়। এই ধরনটি শরীরে করোনার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হলেও হতে পারে।