ফজলুল হক: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ঠেঙ্গারবান্দ পূর্বপাড়া গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলের নামে জমি লিখে না দেওয়ার কারণে পুত্রবধু আগুন দিয়ে শাশুড়ির মুখ পুড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছেলে শাহ আলমের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ক্ষুব্দ হয়ে রান্নার চুলা থেকে আগুন ধরা লাকড়ি দিয়ে শাশুড়ি বাহাত্বন বেগমের মুখে একাধিক আঘাত করে। এসময় আগুনের দাপে বাহাত্বন বেগমের মুখের কিছু অংশ পুড়ে যায়। এসময় শাশুড়ি বাহাত্বন বেগম পরের দিন এলাকান গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে বিচার চেয়েছেন। তবে ছেলের হুমকি ধামকিতে বাহাত্বন বেগম থানায় অভিযোগ করতে সাহস পায়নি বলে জানান।
এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের ইন্তাজ আলীর স্ত্রী বাহাত্বন বেগমসহ দুই ছেলে এক মেয়ে রেখে গত বছর মারা যান। ইন্তাজ আলীর মৃত্যুও আগে স্ত্রী বাহাত্বন বেগমের নামে ৩৩ শতাংশ জমি সাব কবলা করে দলিল দিয়ে যান। সেই জমির অর্ধেক সাড়ে শতাংশ জমি মেয়ে ফাহিমা আক্তারের নামে সাব কবলা দলিল করে দেন। এতেই ছেলে শাহ আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার শাশুড়ির উপর ক্ষিপ্ত হন। এসময় বাহাত্বন বেগমকে বাড়ীর কোন কিছু ধরা ও গ্রহণ করা নিষেধ করে দেন। কিন্তু গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টিউবওয়েলের পানি আনতে গেলে পুত্র শাহ আলমের স্ত্রী ফারজানা আক্তার রান্নার চুলা থেকে আগুন ধরা লাকড়ি দিয়ে শাশুড়িকে বার বার মুখে আঘাত করতে থাকেন। পরে শাশুড়ি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাহাত্বন বেগমকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করান।
বাহাত্বন বেগম জানান, স্বামী মরে যাওয়ার আগেই তার নামে ৩৩ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে যান। সেই জমি থেকে মেয়েকে সাড়ে ১৭ শতাংশ জমি লিখে দেওয়াতে ছেলে শাহ আলম ও তার স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে। এ বিষয়টি স্থানীয় গ্রাম্য মাতাবর ও আত্নীয় স্বজনের কাছে বিচার চেয়েছি।
অভিযুক্ত ছেলে শাহ আলম ও স্ত্রী ফারজানা আক্তারের মোবাইলে একাধিকবার যোগযোগ করেও ফোনে তাদের পাওয়া যায়নি।