শাওন মাহমুদ: ক্রোকোডাইল মুশতাকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিলো পরিবেশবান্ধব এক ফোরামে। তিন থেকে চারবার তার সঙ্গে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলাম। সে সময়ে মুশতাক ভাইয়ের কুমির চাষাবাদের গল্প খুব মন কেড়েছিলো। এক সময়ে আমরা ফেসবুক বন্ধু হয়েছিলাম। তার কিছু মতামতে মিল ছিলো না। তবে এমন অনেক ফেসবুক এবং বাস্তব বন্ধু আমার আছে-প্রত্যকের মতামতকে শ্রদ্ধা করেই এড়িয়ে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছি বহুদিন।
সবচেয়ে মজার কাণ্ড হচ্ছে যে একবার আমার খুবই পরিচিত এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সম্পর্কে তিনি অযাচিত মন্তব্য করলে, বিপরীতে প্রতিবাদ করে, তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। অথচ সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আল মাহমুদ বিষয়ক তর্কে, আমার স্পষ্ট বিপরীত অবস্থানের কারণে আমাকে ত্যাজ্য করে দেন। অথচ মুশতাক ভাই আমার সঙ্গে এমন কোনো বাজে ঘটনা ঘটেছে বলে, মুখ ঘুরিয়ে নেননি কখনোই। পরিবেশ আন্দোলনে দেখা হলে কিছুই ঘটেনি এমন ব্যবহার করতেন।
দেশ জয় করে আনা অতি চেনা মানুষগুলো যখন নচ্ছর কবি গোলাম আযমের জীবনী লেখা শিবির বান্ধব আল মাহমুদের জয়গানে মুখে ফ্যানা তোলে, তখন মনে হয় ক্রোকোডাইল মুশতাক বোকা ছিলেন। ডিজিটাইল আইন বাতিল, কার্টুনিস্ট কিশোরকে মুক্ত করো, ক্রোকোডাইল মুশতাকের মৃত্যুর বিচার চাই বা স্ত্রী লিপা ভাবী মানসিক রোগী হলো কেন, এমন বহু কিছুর প্রতিবাদ করতে চাই না আর। যার যায়, সে শুধু জানে হায়, যে হারায়। ফেসবুক থেকে