মনিরুজ্জামান:[২] অপরূপ সৌন্দর্যের দ্বীপ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর‘কুকরি-মুকরি’ । কয়েকটি গ্রাম মিলে এটি একটি ইউনিয়ন। দৃষ্টি সীমানার জুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ। এককথায় প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমি। নিবিড় বনভূমি, মেঘনার উত্তাল ঢেউ, বৈরী বাতাস আর জলোচ্ছ্বাসের গর্জন ভাবনার জগতকে নাড়া দেয়।মনে এনে দিবে প্রশান্তি। ভাবুক মনের আনন্দের খোরাক এ দ্বীপ।
[৩] পর্যটকদের জন্য নতুন রূপে সাজানো হয়েছে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা এই চরটিকে।নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে রেস্ট হাউজ, বনের মাঝে ঝুলন্ত সেতু, জিপ ট্রাকিং, রেস্টিং বেঞ্চসহ নানা প্রকল্প।একপাশে সমুদ্র, আরেক পাশে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। মাঝখালে বেলাভূমি। দিগন্ত বিস্তৃত অপরুপ এ দৃশ্য-কুইন আইল্যান্ড অব ব্যাঙ্গল নামে পরিচিত ভোলার চর কুকরি মুকরি।
[৪] বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এই দ্বীপে। শিয়ালের দল, হরিণের পাল, আর বন্য মহিষের বিশাল বাহিনী দেখা যায় অনায়াসেই। নাম না জানা হাজার রকমের গাছের সাথে সারি সারি নারিকেল গাছ আর বিশাল বালুকাময় চরটি দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। শীতকালে দেখা মিলে হাজার হাজার অতিথি পাখির। তাছাড়া কৃত্রিমভাবে তৈরী করা হয়েছে ঝুলন্ত ব্রীজ ও মাকড়সার জাল। তবে শীত কালই ভ্রমণের সুবিধাজনক সময়। বিশেষ করে জানুয়ারী থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।
[৫] এই চরের কাছাকাছি ঢাল চর, চর মানিক, সোনার চর, রুপার চর সহ বেশ কিছু চর আছে। কুকরি মুকরি থেকে রিজার্ভ ট্রলার কিংবা স্পিডবোর্ড নিয়ে ঘুরে যাওয়া যায় এসব চরে। আরেকটু দুরে গেলে তাড়ুয়া দ্বীপ। সেখানে রয়েছে বিশাল সী বিচ।
চরটি পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করতে ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্পের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তারুয়ার দ্বীপ ও নারিকেল বাগানে পর্যটকদের জন্য ল্যান্ডিং স্টেশন, রেস্টিং বেঞ্চসহ নানা ধরণের সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে পাল্টে গেছে চর কুররি মুকরির দৃশ্যপট। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
।
আপনার মতামত লিখুন :