মাহামুদুল পরশ: [২]রোববার ভারতের উত্তরাখন্ডে চামেলি জেলার অলকানন্দা নদীর ওপর হিমবাহ ধসের কারণে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাধ। এখন পর্যন্ত ২০০ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। তবে নিখোঁজের পরিমান আরো বেশি হতে পারে বলে শঙ্কা গণমাধ্যমগুলোর। আল-জাজিরা, আনন্দবাজার পত্রিকা, এবিপি
[৩] স্থানীয় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ১৫০ শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নদীর উপর হিমবাগ ভেঙে পড়ায় প্লাবিত হয়ে গেছে আশেপাশের গ্রামগুলোও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত ধারণা করছেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের কেউ বেঁচে নেই।
[৪] রোববার দুপুর ৩ টা পর্যন্ত ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ।ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল, চিকিৎসক এবং ইঞ্জিনিয়ার ইউনিটসহ বেশ কিছু উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। একই সঙ্গে তিব্বত-ভারত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
[৫] ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য পুলিশ।
[৬] গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে এনটিসিপি ও রায়সিঙ্গা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৬০ জন ব্যক্তি কাজ করতেন। আর তপোবন বাঁধের টানেলে আটকা পড়েছিলেন ১৬ শ্রমিক। তাদের উদ্ধার করেছে আইটিবিপির উদ্ধারকর্মীরা।
[৭]এক টুইট বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, তিনি টেলিফোনে রাজ্যের মুখমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আরও জানান, নিয়মিতই এই দূর্ঘটনার ব্যাপারে খোঁজ রাখছেন। পুরো দেশকে উত্তরাখণ্ডের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানান তিনি। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল