প্রথমে টার্গেট বাড়ির সামনে থাকে একদল চোর। ঢোকার আগে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত।
তারপর দেয়াল বেয়ে সন্তর্পণে নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটের দিকে চোর-চক্র। গ্রিল কাটার যন্ত্রপাতি ব্যাগে। আরেকটি ব্যাগ মালামাল ভরে আনার জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানালা খুলে গ্রিল কেটে ঢুকে যায় দুজন। ল্যাপটপ, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা চুরিতে আগ্রহ বেশি। বাইরে পাহারায় আরও কয়েকজন।
অভিযান শেষে মালামাল নিয়ে নেমে ভ্যানে তুলে দেয়া হয়। তারপর সবাই যার যার মত চলে যায়। আর মালামাল নিয়ে চোরদের সদরদপ্তর আদাবরে চলে যায় ভ্যানচালক। চোরাই মাল বিক্রি করে পাওয়া টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগভাটোয়ারা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া চোর দলের সদস্য মানিক বলেন, আমি ভ্যান গাড়িতে চোর নিয়ে ঘুরি। তারপর যে বাড়ি টার্গেট করা হয় ওই বাড়ির সামনে যাই। ওরা ওদের কাজ করে পরে আবার গিয়ে মালামালসহ ওদের নিয়ে চলে আসি।
ছয় চোরকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, চার বছর ধরে ফাঁকা বাসায় চুরিতে জড়িত সংঘবদ্ধ এই চক্রটি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (তেজগাঁও বিভাগ) উপ কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, রাতে টহল পুলিশকে এড়ানোর জন্যই এই চক্রটি ভ্যান গাড়ির ব্যবহার করে এই অভিনব কায়দায় চুরি করে থাকে। আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু মালামাল উদ্ধার করেছি। এছাড়া যার কাছে চুরির মাল বিক্রি করে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চুরিতে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনছে পুলিশ। রাজধানীতে এমন আরও কয়েকটি চোর চক্র রয়েছে। তাদেরও ধরতে অভিযান চলছে। ডিবিসি